পারভেজ মোশাররফের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত
দেশ ছাড়ার সময় চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাচ্ছেন বলে সাবেক এ সেনাশাসকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল, চিকিৎসাশেষে শিগগিরই দেশে ফিরবেন। কিন্তু রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় কয়েক দফায় সমন জারির পরও আদালতে হাজির না হওয়ার প্রেক্ষিতে গত মে মাসে আদালত তাকে পলাতক ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে ৩০ দিনের মধ্যে মোশাররফকে আদালতে হাজির করতে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সিকে (এফআইএ) নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এরপরও পারভেজ মোশাররফ আদালতে হাজির না হওয়ায় ১৯ জুলাই ২০১৬ তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার হত্যা মামলার রায়ে কারাদণ্ডের সাজা পাওয়া দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন- হামলার সময় রাওয়াপিন্ডির পুলিশ প্রধান সৌদ আজিজ এবং রাওয়াল শহরের সাবেক পুলিশ সুপার খুররাম শাহজাদ। জামিনে থাকা এই পুলিশ কর্মকর্তাকে এরই মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পাকিস্তানের দণ্ডবিধির ১১৯ ধারা অনুসারে দুই সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাকে ১০ বছর করে এবং ২০১ ধারা অনুসারে আরও সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। উভয়কেই আরও ৫ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাদের।
মামলার অপর পাঁচ আসামি তেহরিক ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-র পাঁচ নেতাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- রাফাকাত হোসেন, হাসনাইন গুল, শের জামান, আইতাজ শাহ ও আবদুল রশিদ।
রায়ে পারভেজ মোশাররফ ছাড়াও আরও ৫ আসামিকে পলাতক ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন- বাইতুল্লাহ মেহসুদ, আহমেদ গুল, ইকরামুল্লাহ, আব্দুল্লাহ ও ফাইজুল্লাহ। আদালত পারভেজ মোশাররফের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তবে পরোয়ানার কোনও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি।
বিচারের সময় ৬৮ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। পুলিশ আদালতে তিনটি চালান দাখিল করে। একই সময়ে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) আদালতে দাখিল করে ৫টি চালান। বিচারের সময় বিচারক পরিবর্তন করা হয়েছে আটবার।
২০১৩ সালে এফআইএ-র বিশেষ প্রসিকিউটরকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা হত্যা করে। চিকিৎসকরা জানান, বুক ও কাঁধে ১০টি গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রসিকিউটরের মৃত্যু হয়েছে।