৫০ শতাংশের বেশি সিজার হয় বেসরকারি হাসপাতালে
স্টাফ রিপোর্টার:
সরকারি হাসপাতালগুলোতে সিজারিয়ান অপারেশনের হার ২০-২৫ শতাংশ। তবে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ৫০ শতাংশের বেশি সিজার অপারেশনের মাধ্যমে মা হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সচিবালয়ে সোমবার দুপুরে বিশ্ব মাতৃদগ্ধ দিবস-২০১৭ পালন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী ১৫ শতাংশের বেশি সিজার হওয়ার কথা না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধিনস্ত হাসপাতালগুলোতে ২০-২৫ শতাংশের বেশি সিজার হয় না। অনেক ক্ষেত্রে তার থেকে কম সিজার হচ্ছে। আর এসব (সরকারি) হাসাপাতালে জটিল কেস গুলোই আসে। এজন্যই হয়তো একটু বেশি সিজার হচ্ছে।…২০-২৫শতাংশ সিজার আসলে বেশি না। কিন্তু প্রাইভেট সেক্টরের হাসপাতালে ৫০ শতাংশের বেশি সিজার হ থাকে, এ ধরনের তথ্য আমাদের কাছে আছে।
তিনি বলেন, আজকাল মায়েরাও কিন্তু সিজার চায়। অনেক সময় অনেক যুবতি মায়েরা পেইন সহ্য করতে চায় না, তারা তাড়াতাড়ি রিলিজ পেতে চায়। এ কারণে সিজার করান। আরেকটি বিষয় হলো এই ডেলিভারি আমাদের দেশে বেশির ভাগ ডাক্তার দ্বারা হচ্ছে। ডাক্তারদের সময়ের অভাব থাকে, যার ফলে তাড়াতাড়ি ডেলিভারি করতে সিজার হয়ে থাকে।
সিজারিয়ানের সংখ্যা কমিয়ে আার চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, জনসচেতনতার মাধ্যমে পযায়ক্রমে সিজারিয়ানের সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে।
মায়ের দুধ পানের হার ৫৫ শতাংশ
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ১৯৯২ সাল থেকে সারাদেশের সাথে বাংলাদেশেও ১-৭ আগস্ট বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালিত হয়ে আসছে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘মাতৃদুগ্ধপান টেকসই করতে আসুন ঐক্যবদ্ধ হই’।
স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বর্তমা সরকারের অর্জনের চিত্র তুলে ধরে জাহিদ মালেক বলেন, ২০০১ সালে থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মাতৃমৃত্যুহার ৩২২ থেকে ১৭০ (প্রতি লাখ জীবিত জন্মের মধ্যে)এ কমি আনা হয়েছে। নবজাতকের মৃত্যুহার কমেছে এবং ৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের অপুষ্টির হার কমেছে।
শিশু জন্মের পরে মায়ের শালদুধ পানের গুরুত্বারোপ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২৫ সালের মধ্যে ৬ মাস বয়সি শিশুদের মায়ের দুধ খাওয়ানোর হার কমপক্ষে ৫০শতাংশ বৃদ্ধি করা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এটি বাংলাদেশে ইতিমধ্যে ৫৫শতাংশ অর্জন হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য শতভাগ অর্জন করা।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব সিরাজুল হক খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।