রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের ব্যর্থতা প্রকাশ্যে
আগস্ট মাসে নতুন করে সহিংসতার শুরুর পর মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমরা পালানো শুরু করে। গত ২৫ আগস্ট থেকে পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
সহিংসতা শুরুর পর থেকেই প্রতিবাদী অবস্থান নিয়েছে জাতিসংঘ। এটিকে তারা আখ্যা দিয়েছে ‘জাতিগত নির্মূল’ হিসেবে।
কিন্তু ব্রিটেনের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে অন্য কথা। পর্দার আড়ালে নাকি জাতিসংঘের এ রূপটা নাকি পুরোপুরিই বিপরীত। গত আগস্টের নতুন এ সহিংসতা শুরুর বিষয়টি তারা পাঁচ বছর আগেই টের পেয়েছিল। মিয়ানমার ও দেশটির বাইরে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিভিন্ন কর্মকর্তার ঊদ্ধৃতি দিয়ে বিবিসি শুক্রবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানেই রোহিঙ্গা মুসলিমদের ব্যাপারে জাতিসংঘের সত্যিকারের ‘ঘৃণ্য’ ভূমিকার কথা ঊঠে এসেছে। মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের কয়েকজন কর্মকর্তা ওই প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত হননি। কিন্তু বিবিসির প্রমাণ বেশ জোরালো।
সংবাদপত্রটি বলছে, এ বছর দাঙ্গা শুরুর পর সরব হলেও কয়েক বছর আগে থেকে রোহিঙ্গা ইস্যুটি মিয়ানমারে জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সভায় তোলাই একরকম নিষিদ্ধ ছিল। কেউ তা তুললে তাকে হেনস্থার শিকার হতে হতো। এছাড়া তার বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়াসহ চাকরি চলে যাওয়ার ভয়ও ছিল। মিয়ানমারের বাইরে রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-নিপীড়নমূলক কোনো খবর যাতে না প্রকাশ হয় এবং মিয়ানমার সরকারকেও এ নিয়ে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা ছিল। জাতিসংঘের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, ওই সময় যথাযথ পদক্ষেপ নিলে আজ এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। কারণ এ ধরনের ঘটনা যে ঘটবে তা পাঁচ বছর আগে থেকেই টের পাওয়া যাচ্ছিল। রোহিঙ্গাদের কুকুরের মতো মেরে ফেলার হুমকি দিতেও তখন আমরা শুনেছি।