শসার বিস্ময়কর অজানা কিছু গুণ
শসা । ইংরেজি নাম Cucumber । বৈজ্ঞানিক নাম Cucumis sativus বহির্বিশ্বসহ আমাদের দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই শসা জন্মে। আমরা সবজি হিসেবেই শসা রান্না করে বা সালাদ করে খাই। কিন্তু যদি জানি শসাতে কতগুণ আছে তাহলে নিঃসন্দেহে খাওয়ার পরিমাণ যাবে বেড়ে। মজার বিষয় হচ্ছে খাওয়ার পাশাপাশি আজকাল রুপচর্চাতেও শসার গুরুত্ব ব্যাপক। আসুন জেনে নেয়া যাক শসার কিছু বিস্ময়কর গুনের কথা।
শসাকে ভিটামিন ‘এ’র আধারও বলা যায়। তৃষ্ণার্তদের পানির বিকল্পও কিন্তু এই শসা। এর প্রায় ৯০ ভাগই পানিতে পূর্ণ। এতে আছে শর্করা, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি-১২, সি , ডি ও ই । এছাড়া আছে অন্যান্য উপাদনও।
* মিন্ট এর বিকল্প হিসেবে শসা দারুণ উপকারি। নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ করতে কয়েক টুকরা শসা চাবিয়ে খাওয়া যেতে পারে। মাথা ব্যথা রোধে শসা উপকারি।
* কেউ যখন পানি শূন্যতায় ভুগে কিম্বা হাতের কাছে পানি নেই কিন্তু শসা যদি কাছে থাকে তাহলে আর দুশ্চিন্তার কারণ নেই। ৯০ শতাংশ পানির আধার এই শসা পানির তৃষ্ণা মেটাবে।
* হাত পা জ্বালা পোড়ার সময় শসা খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। বলা হয়, নিয়মিত শসা খেলে কিডনির পাথর দূর হয়। এছাড়া যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তারা নিয়মিত শসা খেতে পারেন।
* রাতকানা রোগ প্রতিরোধে করে শসায় থাকা ভিটামিন এ।
* শসায় আছে উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও সিলিকন । যা ত্বককে করে মসৃণ, কমল ও সতেজ।
* শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে শসা চমৎকার একটি টনিক বটে। ডায়াবেটিস রোধ করে। এছাড়া মেদ বা চর্বি কমাতে শসা নিয়মিত খাওয়া চাই।
* চোখের নিচে কালো দাগ, চোখের পাতায় জমে থাকা ময়লা দূর করতে অনেকেই শসা গোল চাকা করে কেটে চোখে লাগিয়ে রাখেন।
* শসায় থাকা সিকোইসোলারিসিরেসিনোল, ল্যারিসিরেসিনোল ও পিনোরেসিনোল—এ তিনটি উপাদান স্থানে ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
* এছাড়া পুষ্টিকর সালাদ শসা বাসা, রেস্টুরেন্টে বহুল ব্যবহৃত।