চাঁদপুরে চালের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১০টাকা!

 In লিড নিউজ, শীর্ষ খবর

 

চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১০টাকা। ক্রেতাদের অভিযোগ ব্যবসায়ীদের মজুতদারি এবং কারসাজির কারণেই চালের দাম বাড়ছে। অবশ্য খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ার সুনির্দিষ্ট কারণ বলতে না পারলেও মিল মালিকরা বলছে চালের আমদানী কম। এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) তে চাল আমদানীকারকরাই চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানান বিপনন কর্মকতা
চাঁদপুর শহরের পালের বাজার, বিপনীবাগ, নতুন বাজার ও পুরানবাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ আগে খুচরা বাজারে মোটা চালের কেজি প্রতি দাম ছিলো ৪২-৪৩টাকা, যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৫২-৫৩টাকা। চিকন চাল ছিলো ৫২-৫৩টাকার যা এখন ৬০-৬৫টাকা। মোটা ও চিকন চালের দাম ৫০ কেজি বস্তায় ৫শ থেকে সাড়ে ৫শ বেড়েছে গত একসপ্তাহে। সাধারণ মানুষ বলছে, ব্যবসায়ীদের মজুদদারিতে বাড়ছে চালের বাজার। এতে সবচে কষ্ট হচ্ছে নিন্মমধ্যবিত্ত, নিন্মবিত্ত ও দিন খোরকিতে চলা মানুষের।
ক্রেতা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, গত সপ্তাহে ২৬শ টাকা দিয়ে যে বস্তা কিনেছি সে বস্তা আজ ৩১শ টাকা। এভাবে চলতে থাকলে আমরা কোথায় যাবো বুঝতে পারছি না।
খুচরা দোকানীরা দাম বাড়ার সুনির্দিষ্ট কারণ বলতে পারেনি। তাদের দাবি তারা চাল কিনছে বেশি দামে বিক্রি করছেন অল্প কিছু লাভে। তবে আড়ৎদার ও মিল মালিকদের কারসাজিকেও অস্বীকার করছেননা তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন খুচরা ব্যবসায়ী জানান, চাল কিনতে গেলে মুখে বলে চাল নেই। আমদানী কম। অথচ গোডাউনে প্রচুর চালের মজুদ রয়েছে।
অবশ্য মিল মারিকরা বলছেন, গোডাউন বা রাইস মিলে যে চাল রয়েছে তা আগামী একসপ্তাহেই শেষ হয়ে যাবে। মজুত করার সুযোগ কই?
চাঁদপুর মিল মালিক সমিতির সভাপতি পরেশ মালাকার জানান, দেশে চালের পর্যপ্ত আমদানী নেই। এছাড়া যারা এলসিতে যারা চাল আমাদনী করে তাদের কাছ থেকে চাল কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। চাঁদপুরের মিল মালিকরা কোনো কারসাজি বা গুদামজাতের সাথে জড়িত নেই দাবি করেন এ মিল মালিক নেতা।
চাঁদপুর জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা এন এম রেজাউল ইসলাম জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদারকি চলছে। কোনো কারসাজি নেই দাবি করে চাঁদপুরের বিপনন কর্মকর্তা শিগগিরই চালের বাজার স্থিতিশীল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

Recent Posts

Leave a Comment