চার বছর পর আশরাফুলের সেঞ্চুরি
বিপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে তিন বছরের বহিষ্কারাদেশ কাটিয়ে গত বছর জাতীয় লিগ দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। কিন্তু ফেরাটা স্মরণীয় করে রাখতে পারেননি জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। ৫ ম্যাচে রান ১২৩, সর্বোচ্চ ৩৯। বাজে খেলায় দল থেকে বাদ পড়ার অভিজ্ঞতাও তাঁর হয়েছিল। এবার জাতীয় লিগে শুরুটা করেছেন দুর্দান্ত। চার বছর পর যেকোনো ধরনের ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন আশরাফুল।
আশরাফুলের সেঞ্চুরিতে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের বিপক্ষে প্রথম দিনে ভালো অবস্থানে আছে ঢাকা মহানগর। ৫ উইকেটে তাদের রান ২৫৪। মেহেদী হাসান রানার বলে উইকেটকিপার সাব্বিরের ক্যাচ হওয়ার আগে আশরাফুলের রান ১০৪। ফেরার আগে পঞ্চম উইকেটে মেহরাব হোসেন জুনিয়রের সঙ্গে আশরাফুল গড়েছেন ১৭৪ রানের জুটি। মেহরাব অপরাজিত আছেন ৬৫ রানে।
ফিক্সিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ হওয়ার আগে যেকোনো ক্রিকেটে আশরাফুল সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০১৩ সালের মার্চে, গল টেস্টে। আর ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর সর্বশেষ তিন অঙ্ক ছোঁয়া ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে। বগুড়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে মধ্যাঞ্চলের হয়ে করেছিলেন ১৩৩ রান।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর জাতীয় লিগে ভালো করতে পারেননি বলে সর্বশেষ বিসিএলে সুযোগ মেলেনি আশরাফুলের। এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে ফিরেছিলেন একদিনের ম্যাচে। কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের হয়ে টানা সাত ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পর অষ্টম ম্যাচে পেয়েছিলেন ফিফটি। প্রিমিয়ার লিগে ১০ ম্যাচে ২ ফিফটিতে করেছিলেন ২৪০ রান।
তবে মরচে পড়া ব্যাটে যে ধার ফিরেছে, সেটা এবার জাতীয় লিগের প্রথম দিনেই বোঝালেন আশরাফুল। অবশ্য হঠাৎ জ্বলে উঠে হারিয়ে যাওয়াও তাঁর জন্য নতুন নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার প্রায় অসম্ভব যে স্বপ্ন তিনি দেখছেন, তার জন্য ধারাবাহিক তাঁকে হতেই হবে। ৩৩ বছর বয়সী আশরাফুল নিজেও সেটি সবচেয়ে ভালো জানেন।