১ লাখ রোহিঙ্গার জন্য আশ্রয়কেন্দ্র করে দেবে তুরস্ক
১ লাখ রোহিঙ্গার জন্য আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করবে তুরস্ক। বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমে এ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করতে চায় মুসলিম দেশটি। এজন্য বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তা দেবে তারা।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা জানান তুরস্কের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতাবিষয়ক সংস্থার সমন্বয়ক আহমেদ রফিক।
আহমেদ রফিক বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে তুরস্ক। এই সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পাশে থাকবে। রোহিঙ্গাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রাখবে। ১ লাখ রোহিঙ্গার জন্য আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে স্থান নির্ধারণ করে দিতে মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তুরস্কের এই প্রতিনিধি।
ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু ছাড়াও বাংলাদেশ ও তুরস্কের দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে তুরস্কের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা রোহিঙ্গাদের জন্য সার্বিক সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন। ১ লাখ রোহিঙ্গার জন্য আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে। তুরস্ক শিগগিরই ১৩টি আইটেমের সমন্বয়ে প্রস্তুত ১০ হাজার প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী রোহিঙ্গাদের দেবে। এগুলোর হস্তান্তর নিয়েও কথা হয়েছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে শিগগির তুরস্কের উপ-প্রধানমন্ত্রী রিসেপ আব্বাস বাংলাদেশ সফর করবেন। এ তথ্য তুরস্কের পক্ষে ত্রাণমন্ত্রীকে জানানো হয়। বাংলাদেশও তুরস্কের উপ-প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবে বলে মন্ত্রী ওই প্রতিনিধিকে অবহিত করেন। তুরস্কের উপ-প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে উভয়ের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।
ত্রাণমন্ত্রী তুরস্কের প্রতিনিধিকে জানান, একান্ত মানবিক কারণে বাংলাদেশ মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছে। রোহিঙ্গা নিয়ে সরকারের মনোভাব ও অবস্থান তুরস্ক প্রতিনিধির কাছে তুলে ধরেন মন্ত্রী। রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর নির্যাতনের বিষয়টিকে অমানবিক হিসেবে উল্লেখ করে দ্রুত এর সমাধানও আশা করেন তিনি।