চাঁদপুরে ১২ জেলের কারাদন্ড
চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ১২ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। এদের মধ্যে চাঁদপুর সদরে একজন, মতলব উত্তর ছয় জন ও হাইমচরে ৫জন। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট সারমিন আক্তার, মোঃ মাসুম ও নারায়ন চন্দ্র পাল।
সাজা প্রাপ্তরা হলেন, মতলব উত্তরের খলিল (৩৫) আনোয়ার (১৮) জমির (২০) নাজমুল (২১) মাতাব্বর আলী (৩৪০) শাহ আলম(৩২) এবং চাঁদপুর সদরের মোহাম্মদ হোসেন (৪২)। হাইমচরের সাজাপ্রাপ্তদের নাম তাৎক্ষণিক ভাবে জানা যায়নি।
চাঁদপুর মৎস্য বিভাগ জানান, সাজাপ্রাপ্তরা পদ্মা মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার করছিলো। বুধবার গভীর রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এসময় ১২হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৪০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। ইলিশ গুলো এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। আর আটকৃতদের মধ্যে ছয়জনকে দুই মাস ও বাকী ছয়জনকে একমাস করে কারাদন্ড দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ আবদুস সবুর মন্ডল বলেন, মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম শতভাগ সফল করতে নদীতে সার্বক্ষণিক টহল চলছে। যারা আটক ও সাজা পাচ্ছে মুলত এরা পেশাদার জেলে নয়। তার মৌসুমি জেলে। তারপরেও ইলিশ নিধনের সাথে যেই সম্পৃক্ত থাকুক তাদের বিরুদ্ধে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি।
প্রসঙ্গত; মা ইলিশের প্রজনন বাড়াতে গত ১ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনা নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য বিভাগ। শুধু মাছ ধরা নয়; ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, বাজারজাতকরণ সম্পূর্ণ নিষেধ।