মালয়েশিয়ার মত উন্নয়ন চাইলে আ’লীগকে ক্ষমতায় রাখুন: জয়

 In রাজনীতি, লিড নিউজ, শীর্ষ খবর

এশিয়ার উন্নত দেশ হিসেবে মালয়েশিয়ার উদাহরণ টানা হয়। দেশের জনগণ সচেতন থাকলে বাংলাদেশও এতোদিনে মালয়েশিয়ার মত উন্নত হতো বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

মালয়েশিয়ার উন্নতির কারণে তুলে ধরে তিনি বলেন,‘মালয়েশিয়ার জনগণ দেশটির স্বাধীনতা এনে দেয়া দলটিকে ৪ বার ক্ষমতায় এনেছে বলেই আজ দেশটি উন্নতির শিখরে, অথচ বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দেয়া আওয়ামী লীগ এই ৪৬ বছরে সব মিলিয়ে মাত্র ১৬ বছর ক্ষমতায় এসেছে।’

সর্বশেষ ক্ষমতায় আসার পর ৮ বছরে আওয়ামী লীগের হাত ধরে দেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছে এবং নিজের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছে বলে মন্তব্য করেন জয়।

শুধু নিজ দেশের উন্নয়ন নয়। এই সরকারের আমলে বাংলাদেশ বৈশ্বিক নিজের পরিচিতির জানান দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন,‘সিরিয়ায় যাদের জন্য যুদ্ধ শুরু হয়েছে তারা উন্নত দেশ হয়েও সিরিয় শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়নি। অথচ বাংলাদেশ ছোট একটি দেশ হয়েও পাশ্ববর্তী দেশে জাতিগত  নিধনের শিকার রোহিঙ্গাদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছে।’

বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিলেও তাদের জন্য বাংলাদেশ অন্য কোনো দেশের কাছে হাত পাতেনি জানিয়ে জয় বলেন,‘১৬ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারলে আরও ১ কোটিও কিছুই না। এটাই আমাদের আত্মবিশ্বাস।’

ইয়াং বাংলা এবং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত ‘জয় বাংলা  ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে এসে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা।

অনুষ্ঠানে আসা তরুণ-তরুণীদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ধারণ করে এই ইতিহাস নিয়ে প্রশ্ন তোলা রুখে দেয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

তিনি বলেছেন,‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। খালেদার মত আর কাউকে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেবেন না।’

শনিবার সাভারের শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইয়ুথ সেন্টারে সমাজের তৃণমূল পর্যায়ে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় তরুণ উদ্যোক্তদের ৩০টি সংগঠনকে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়।

সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের উন্নয়নে কাজ করে যাওয়া প্রায় ১৩০০ সংগঠনের মধ্য থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে ১০০টিকে বেছে নেওয়া হয়। তাদের থেকে নির্বাচিত করা হয় ১০০ সংগঠনকে। সেগুলোর মধ্যে সমাজ উন্নয়ন, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন এই তিন ক্যাটাগরিতে মোট ৩০টি সংগঠনকে পুরস্কার দেওয়া হয়।

সিআরআই’র তরুণদের প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলা এই পুরস্কার দেয়।সমাজ উন্নয়ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কারের জন্য মনোনীত সংগঠনগুলো হলো যশোরের স্বপ্ন দেখো সমাজ কল্যাণ সংস্থা, বরিশাল ইয়ুথ সোসাইটি, কুমিল্লার দুর্বার ফাউন্ডেশন, সিলেটের কাকতাড়ুয়া, ঠাকুরগাঁওয়ের আই পজিটিভ, ঢাকার মডেল লাইভস্টক অ্যাডভান্সমেন্ট ফাউন্ডেশন, সাতক্ষীরার জাগরণ ক্লাব, নেত্রকোণার মানবকল্যাণকামী অনাথালয়, মৌলভীবাজারের উত্তরণ বাংলাদেশ, রাঙামাটির স্পার্ক, ঢাকার ওয়ার্কস ফর হিউম্যানিটি, নওগাঁর শিশু বিকাল, খুলনার মানব কল্যাণ ইউনিট, দিনাজপুরের স্বাধীন, মৌলভীবাজারের প্রত্যয়, চাঁদপুরের বি রিলেটেড টু অডিও ভিজ্যুয়াল এডুকেশন (ব্রেইভ), গাইবান্ধার আমার স্কুল, সিলেটের ইচ্ছাপূরণ সামাজিক সংগঠন, নাটোরের কল্লোল ফাউন্ডেশন ও চট্টগ্রামের পতেঙ্গা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংগঠন।

খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে রাঙ্গামাটির জুমফুল থিয়েটার, সিলেটের থিয়েটার মুরারিচাঁদ, বগুড়ার চৌপাশ নাট্যাঞ্চল, ঝিনাইদহের কথন সাংস্কৃতিক সংসদ, পঞ্চগড়ের মুক্ত সাংস্কৃতিক সংঘ, সিলেটের ইনোভেট বইপড়া উৎসব, কুইজার্ডস, ঠাকুরগাঁওয়ের রাঙ্গাটুঙ্গি ইউনাইটেড উইমেন ফুটবল একাডেমি, গাজীপুরের হুইলচেয়ার ক্রিকেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর ফুটবল একাডেমি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

Recent Posts

Leave a Comment