প্রতিহিংসামুক্ত রাজনীতির জন্য এরশাদকে ক্ষমতায় আনুন : তাজ
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সিলেট জেলার আহবায়ক এটিইউ তাজ রহমান বলেছেন, নব্বইতে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা হস্তান্তরের পর থেকেই এদেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি চালু হয়েছে। ২৭ বছর ধরে ক্ষমতা বদলের সাথে সাথে শুরু হয় প্রতিহিংসার রাজনীতি, প্রতিশোধের রাজনীতি।
তিনি বলেন, অথচ দীর্ঘ নয় বছরের শাসনামলে এরশাদ কোনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করেননি। অন্যায়ভাবে কোনো দল বা নেতার অবিচার করেননি। তাই দেশে প্রতিহিংসামুক্ত রাজনীতি গড়ে তুলতে হলে এরশাদকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
শনিবার নগরীর সুরমা মার্কেটস্থ জাপা কার্যালয়ে জেলা জাপা আয়োজিত এক যোগদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে স্কটল্যান্ডের ব্যবসায়ী আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী এটিইউ তাজ রহমানের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন।
এসময় তাজ রহমান আরো বলেন, বর্তমান সময়ে শিক্ষক, চিকিৎসক, সাংবাদিক, অ্যাডভোকেটসহ সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। যারাই ক্ষমতায় আসেন তারাই তাদের দলীয় লোকদের বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত করছেন। যেখানে মেধার কোনো মূল্যায়ন হচ্ছে না। এদেশে নব্বইয়ের পর থেকে এই খারাপ নজির দেখা যাচ্ছে। এরশাদের শাসনামলে দল বা দলীয় ব্যক্তি নয়, মেধাকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছিলো।
তিনি বলেন, এরশাদকে অনেক সমালোচকরা স্বৈরাচার বলে থাকেন। অথচ এই বিএনপি-আওয়ামী লীগ আমলেই দুর্নীতিতে দেশ একাধিকবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। লংঘিত হয়েছে মানবাধিকার। গণতন্ত্রের নামে সারের দাবি করায় ১৮জন কৃষক হত্যা, বিদ্যুতের দাবি করায় গুলি করে মানুষ হত্যা, রাজনৈতিক সমাবেশে গ্রেনেট নিক্ষেপ, এগুলো কোন গণতন্ত্রের মধ্যে পড়ে?
জাপা কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলার সদস্য সচিব উছমান আলীর পরিচালনায় যোগদান অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন, জেলার সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ইশরাকুল হোসেন শামীম, যুগ্ম আহবায়ক এমএ মালিক খান, অ্যাডভোকেট মুফতি আব্দুর রহমান চৌধুরী, জাপা নেতা আরশ আলী বাবুল , মো. দৌলা মিয়া, নিমার আলী, জেলা যুব সংহতির নেতা আবুল কালাম আজাদ, জাহাঙ্গীর খান, সেলিম আহমেদ, মো. শাহজাহান, আব্দুস শহীদ, ফখরু মিয়া, সিতাব আলী, লিয়াকত আলী, তাজ উদ্দিন বাবুল প্রমুখ।