ফরমপূরণে অতিরিক্ত ফি ও মাথা ন্যাড়ার ঘটনায় এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টিম গঠন
বিশেষ প্রতিনিধি ঃ
চাঁদপুর শহরে অঘোষিত জামায়াত-শিবির কর্তৃক পরিচালিত বিদ্যাপীঠ আল আমিন একাডেমীতে ফরমপূরণের শর্ত মাথা ন্যাড়া করার ঘটনায় এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। কমিটির একমাত্র সদস্য হলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা। শনিবার সরকারি অফিস বন্ধ থাকায় মৌখিক ভাবে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয়া হলেও আজ (রোববার) চিঠি দিয়ে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়া হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ শওকত ওসমান।
তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্যে একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। আমরা তদন্ত স্বাপেক্ষে পরবর্তি পদক্ষেপ নেব। এদিকে ঘটনাটি বিভিণœ গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে আল আমিন একাডেমী নিয়ে নানান আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিউজটি ভাইরাল হলে সমালোচনা আরো তুঙ্গে উঠে। অবশ্য চাঁদপুরের অন্যতম বিদ্যাপীঠ হিসেবে ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি সুনাম কুড়িয়েছে বেশ।
চাঁদপুরের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম হলেও সরকারি কিছু নিয়মনীতি তোয়াক্কা করে না প্রতিষ্ঠানটি। বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানে কোনো হিন্দু শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারে না। এমনকি প্রতিষ্ঠানে কোনো হিন্দু শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয় না। অথচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সব ধর্ম, বর্ণ পেশা গোষ্ঠির সন্তান পড়াশুনা করার সুযোগ পাবে বলেই আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানে পাঠদানের অনুমোদন দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মেধা ও অভিভাবকদের পেশা বিবেচনা করে ৩০ ভাগ মেয়ে একং ২০ ভাগ ছেলেকে শিক্ষা উপবৃত্তি গ্রহণের সুযোগ থাকলেও আল আমিন একাডেমী তা গ্রহণ করছে না। মূলত শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করাই যার একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। কারণ শিক্ষা ভাতা গ্রহণকারী শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মাসিক বেতন গ্রহণ করতে পারবে না। শুধু তাই নয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়াই আল আমিন একাডেমী ছাত্রী শাখা, গুণরাজদী শাখা এবং বাবুরহাট শাখা পরিচালনা করছে বলে জানা গেছে।
মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লা কলেজ পরিদর্শক জামাল নাসের এর সাথে যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোনে তিনি জানান, আল আমিন একাডেমীর মূল ক্যাম্পাস স্ট্র্যান্ড রোডে অবস্থিত বলে, এছাড়া অন্য কোনো শাখা আছে কী না তা আমাদের জানা নেই। আর অনুমোদন ছাড়া কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শাখা ক্যাম্পাস পরিচালনার কোনো বিধান নেই। অবশ্য এ ব্যাপারে অভিযোগ না করলে ব্যবস্থা নেয়াও কঠিন হয়ে যায়। তারপরেও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।