‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড’ মুসলিমলীগের বংশধরদের দখলে!
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুর শহরের চিহ্নিত মুসলীমলীগ পরিবারের বংশধর মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন । তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ যুবকমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা যুবকমান্ড এর দায়িত্ব পালন করেছেন। সা¤্রতিক সময়ে এ সংগঠনের আর্ন্তজাতিক প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পেতে জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। আর্ন্তজাতিক প্রধান সমন্বয়কারীর তথা বহির্বিশ্বে যত কমিটি হবে সব কমিটির তার সমন্বয়ের মাধ্যমে হবে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত স্বাধীনতাকামী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মনে চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে চাঁদপুর শহরের গুয়াখোলা রোস্থ মুসলীমলীগ পারিবারের অন্যতম সদস্য মমিন চোকদারের ছেলে মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। তিনি বর্তমান যুক্তরাষ্ট্র যুব কমান্ডের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। স্বাধীনতার পক্ষের এ সংগঠনে কিভাবে স্বাধীনতা বিরোধীদের বংশধররা সুযোগ পায় এ নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত স্বাধীনতার স্বপক্ষের মানুষের মনে।
জানা যায়, স্বাধীনতা পূর্ব চাঁদপুর পৌরসভার কমিশনার ছিলেন হাবিবুল্লাহ চোকদার। হাবিবুল্লার ভাই মমিন চোকদার ও জালাল উদ্দিন চোকদার। তারা যুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। এমনকি প্রকাশ্যে মুসলিমলীগের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন। যুদ্ধকালীন সময়ে তারা নানান অপর্কম চালিয়েছে। এ ব্যাপারে চাঁদপুরের একাধিক মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, চোকদার পরিবার সর্ম্পকে। মূলত তারা চরাঞ্চলের মানুষ। বর্তমানে তারা বিভিন্ন দেশের অবস্থান করায় প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক হয়েছে। আর ওই টাকা দিয়ে আওয়ামীলীগের পদ-পদবি দখল করছে। শুধু তাই নয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তাদের অবস্থান থাকে বিএনপি জামায়াতের পক্ষে। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুর-১ (তারাবুনিয়া) আসনে বিএনপি প্রার্থী সফিকুর রহমান কিরণের পক্ষে প্রচার প্রচারণা চলায় মাইনুদ্দিন।
শহরের কুমিল্লা রোডের মুনির আহমেদ জানান, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে তাদের কোনো কর্মকান্ড আছে কিনা তা আমার জানা নেই। তিনি অভিমান করে বলেন, বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা নয়; মুক্তযোদ্ধা বেশি। যারা দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যুদ্ধ করেছিলো, তারাই এখন বীরদর্পে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে আসছে।
মুক্তিযোদ্ধা হানিফ পাটওয়ারী ওই পরিবারটি স্বীকৃত মুসলিমলীগার দাবি করে বলেন, এখন তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন সংগঠনের সাথে মিশে গেছে। যদিও সেখানে তাদের বড় অংকে ডোনেশান থাকে। এছাড়া আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
মোহাম্মদ মাইন উদ্দিনের জেঠা মুসলীগ পরিবারের অন্যতম সদস্য সিরাজুল ইসলাম চোকদার অপকটে স্বীকার করে তিনি বলেন, মুসলিমলীগ করেছি। যুদ্ধকালীন সময়ের অন্য কিছু জানি না। তবে এটা বলতে পারি; কাজ করি, ভাত খাই। লুটপাট করি নি। কিংবা কোনো রাজকারদের মতো কোনো অপকর্মের সাথে আমরা সম্পৃক্ত ছিলাম না।