৪ বছরে ১২২টি ম্যাচ খেলবে মাশরাফিরা
২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৪ বছরে সব ফরম্যাট মিলিয়ে ১২২টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
আইসিরি নতুন ফিউচার ট্যুরস প্রোগ্রাম (এফটিপি) বা ভবিষ্যত সফর সূচিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যেখানে ৩৫টি টেস্ট, ৪৫টি ওয়ানডে ও ৪২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে মাশরাফিরা। তবে সূচিটি এখনও অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে আইসিসি প্রধান নির্বাহীদের সভায় এই সূচি পাঠানো হবে। সেখানে অনুমোদন হলে চূড়ান্ত অনুমোদনের আগামী জুনে আইসিসি বোর্ড সভায় পাঠানো হবে।
চলমান আইসিসির সূচিতে ৩৩ টেস্ট রয়েছে বাংলাদেশের। কিন্তু নতুন সূচিতে দুটি টেস্ট বাড়ছে। চমকপ্রদ তথ্য হলো নতুন সূচি অনুযায়ী টাইগাদের থেকে বেশি টেস্ট খেলবে কেবল ভারত (৩৭টি), ইংল্যান্ড (৪৬টি) ও অস্ট্রেলিয়া (৪০টি)।
বাংলাদেশ, ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া ছাড়া এই সময়ে বাকিদের মধ্যে ২৯ টেস্ট খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২৮টি নিউজিল্যান্ড, ৩২টি দক্ষিণ আফ্রিকা, ২৯টি শ্রীলঙ্কা, ২৮টি পাকিস্তান, ১৭টি জিম্বাবুয়ে। সাদা পোশাকের নতুন পরিবার আয়ারল্যান্ড খেলবে ১৬ টেস্ট, আফগানিস্তান ১৩টি।
এখন পর্যন্ত ভারতের মাটিতে মাত্র একটি টেস্ট খেলা বাংলাদেশ নতুন সূচিতে ২০১৯-২০ সালে টেস্ট ও ওয়ানডের পূর্ণাঙ্গ সফর করবে দেশটিতে। পরবর্তীতে ২০২২-২৩ মৌসুমে ফিরতি সফরে বাংলাদেশে আসবে টিম ইন্ডিয়া।
এই সভায় ৯ দলকে নিয়ে আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ১৩ দলের ওয়ানডে লিগও সূচিতে রাখা হয়েছে।
এদিকে ২০১৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত বাংলাদেশ ওয়ানডে খেলবে ৪৫টি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সবচেয়ে বেশি ৬২ ওয়ানডে খেলবে, পরেই রয়েছে ভারত ৬১টি। অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কা যৌথভাবে ৪৮টি করে খেলবে। টাইগারদের সমান ৪৫টি খেলবে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংল্যান্ড ৪৩টি, আয়ারল্যান্ড ৪২টি, আফগানিস্তান ৪১টি, জিম্বাবুয়ে ৪০টি ও পাকিস্তান খেলবে ৩৮ ওয়ানডে।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ টি-২০ এই সময়ে বাংলাদেশ খেলবে ৪২টি। ভারত সবচেয়ে বেশি ৬১ টি-২০ খেলবে, পরের স্থানে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫৬টি। নিউজিল্যান্ড ৪৯, আয়ারল্যান্ড ৪৪, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা ৪২টি, ইংল্যান্ড ৪১, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান ৩৮ করে, আফগানিস্তান ৩৪ ও জিম্বাবুয়ে খেলবে ৩১টি।