চাঁদপুরে হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসি
চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরের মতলব উত্তরে কসমেটিক্স দোকানের কর্মচারী মাসুদ রানা (২৭) কে হত্যার দায়ে তিন আসামীকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালম। বুধবার দুপুর ১২টায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদ এ রায় দেন।
সাজা প্রাপ্তরা হলেন, চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দক্ষিণ ফতেহপুর এলাকার সফিকুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম সুজন (২৩) একই এলাকার মোশারফ সরদারের ছেলে মোঃ শরীফ সরদার ( ১৯) এবং শাহজাহান শিকদারের ছেলে সুফিয়ান আহমেদ শিবির (২২)। মাসুদ রানা একই এলাকার আবদুল মান্নান মনু বেপারীর ছেলে।
মামলার এজাহারে জানা যায়, মাসুদ রানা ফতেহপুর গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোড়ে কসমেটিক্স ও মোবাইফোন দোকানে কাজ করতে। আসামীরা মাসুদ রানার দোকানে গিয়ে আসামী শরীফ হোসেন একটি স্বর্ণের চেইন রেখে দুই হাজার টাকা চায়। চেইনটি স্বর্ণের কিনা পরীক্ষা করা শেষে পাঁচশ টাকা দেয়া হবে বলে নগদে ১৫শ টাকা দেয়। পরে চেইনটি স্বর্ণের না হওয়ায় আসামী শরীফের কাছ থেকে টাকা ফেরত চায় মাসুদ। টাকা দেই দিচ্ছি করে অনেক দিন কেটে গেলেও মাসুদ টাকা ফেরত পায় না। ২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী বিকেলে শরীফ দোকানে এসে টাকা ফেরত দেবে বলে জানায়। এবং রাতে দেখা করতে বলে। রাতে দোকান বন্ধ করে মাসুদ রানা আর বাড়ি ফিরেনি। পরদিন সকালে দক্ষিণ ফতেহপুর গ্রামে আরশাদ বেপারীর বাড়ির পুকুড়ে পশ্চিম পাড়ের ঢালুতে ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ দেখতে পায় মানুষ। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পর দিন ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০০৯ইং তারিখে মাসুদ রানার বড় ভাই মোঃ ফারুক বেপারী মতলব উত্তর থানার হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ১৭/২০০৯।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতলব উত্তর থানার উপ-পরিদর্শক খন্দকার মোঃ ইব্রাহীম ২০০৯ সালের ৩০ মে চার্জসীট দাখিল করেন। তারপর দীর্ঘ শুনানি এবং ২১জনের স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক তিনজনেক ফাাঁসির আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পিপি এড. মোঃ সাইয়েদুল ইসলাম, এপিপি এড. দেবাশীষ কর মধু। আসামী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এড. ইকবাল বিন বাশার এবং এড. সেলিম আকবর।