দেনার দায়ে আত্মগোপনে গিয়েছিলেন গিয়াস!
চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল জেএন উচ্চ বিদ্যালযের ইসলাম ও নৈতিক বিষয়ের শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন (৩৫) কে নিখোঁজের ছয় দিন পর চট্টগ্রামের বাঁশখালি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের বাঁশখালী এলাকা থেকে উদ্ধার করে শুক্রবার তাকে হাজীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়। দেনার দায়ে তিনি আত্মগোপনে গেছেন বলে পুলিশের নিকট প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন। গত ২৪ মার্চ গিয়াস উদ্দিন বলাখাল থেকে হাজীগঞ্জ বাজারে যাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। নিখোঁজের পরেই গিয়াসের শিক্ষক বড় ভাই হাজীগঞ্জ থানায় একটি ডায়েরী করেছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রাজারগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম রাজারগাঁও গ্রামের হায়দার আলী হাজী বাড়ির মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে গিয়াস উদ্দিন বলাখাল জেএন স্কুল এন্ড কলেজের ইসলাম ও নৈতিক বিষয়ের শিক্ষক পাশাপাশি একটি মসজিদে ইমামের দায়িত্ব পালন করছিলেন। সম্প্রতি গিয়াস উদ্দিন সুদের ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। অতিরিক্ত মুনাফার আশায় তিনি নিজের এবং অন্যের কাছ থেকে টাকা এনে অপর একজনকে টাকা দেন। সেই ব্যক্তি সম্প্রতি সময় পুরো টাকা নিয়ে পালিয়ে গেলে গিয়াস উদ্দিন বিপাকে পড়ে যান। পাওনাদার টাকার জন্যে চাপ প্রয়োগ করলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে গিয়াস উদ্দিন নিজেই আত্মগোপনে চলে যান।
হাজীগঞ্জ থানা হেফাজতে থাকাবস্থায় গিয়াস উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, দায়-দেনার কারণে নিজেই আত্মগোপন করেছেন। তিনি নিজের ও অন্যের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ৮ লাখ টাকা মাসিক মুনাফার আশায় হাজীগঞ্জ বাজারের বড় মসজিদের ইমাম মাও. মাহবুবর রহমানকে দেন। মাও. মাহবুবুর রহমানের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। গত ১৫ দিন আগে তিনি হাজীগঞ্জ থেকে উধাও হয়ে গেছেন।
গিয়াস উদ্দিনের ভাই মাও. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, পাওনাদারদের চাপে গিয়াস উদ্দিন আত্মগোপনে গেছেন। সে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাবেদুল ইসলাম বলেন, এ শিক্ষক আত্মগোপনে চলে গিয়ে তার বিদ্যালয়, পরিবার, সমাজ আর প্রশাসককে বিপাকে ফেলেছে। এটা ঐ শিক্ষকের নীতি বিবর্জিত কাজ। ঈমাম হিসেব এমন নীতি বিবর্জিত কাজ করা উচিৎ হয়নি। গিয়াসের বড় ভাইয়ের কাছে জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।