আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনীতিতে নিত্যনতুন হিসাব

 In দেশের বাইরে, লিড নিউজ
বিশেষ প্রতিনিধি :
আমেরিকা, রাশিয়া ও চীন আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনীতিতে নিত্যনতুন হিসাব করছে। অর্থনীতির হিসাব করতে গিয়ে তারা সামরিক শ্রেষ্ঠত্বও বজায় রাখছে।
এরপরেও ছোট শক্তিগুলিও যেমন তুরস্ক ইরান পাকিস্তান আন্তর্জাতিক প্রতিপত্তি অক্ষুন্ন রাখতে নানান কৌশল নিচ্ছে।
৫ বছর আগেও তাদের যে কৌশল ছিল এখন সেই কৌশলের নিত্য পরিবর্তন করছে তারা। যেমন, সিরিয়াতে রাশিয়া তুরস্কের ভিন্ন মত ও উদ্দেশ্য থাকিলেও তারা নিজেদের মধ্যে আন্ত যোগাযোগ করে নিজেদের মধ্যে সংঘাতে যায়নি। লিবিয়াতে সরকারি বাহিনীকে তুরস্ক সহযোগিতা করলেও রাশিয়া সহযোগিতা করেছে বিদ্রোহী বাহিনীকে। তবে পরিশেষে তুরস্কের সাথে রাশিয়ার সমঝোতা হয়েছে।
মায়ানমারের ১০ লাখ রিফিউজি বাংলাদেশে এসেছে। এ নিয়ে তাদের সাথে যত বিরোধই থাকুক আমদানি রফতানি ঠিকই চলছে। আবার আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র ভারত ও চীন মায়ানমারের সরকারকেই সাপোর্ট করেছে।
ভারতের সাথে চীনের যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব হলেও বাংলাদেশ চীনের সাথে বন্ধুত্বের বিশ্বস্ততার পরীক্ষায় উত্তির্ন হয়েছে।আজারবাইন ও আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধে তুরস্ক সামরিক ও অর্থনৈতিক ভাবে আজারবাইনকে সহযোগিতা করলেও রাশিয়া ও তুরস্কের সম্পর্কের ভাটা পড়েনি। অথচ আর্মেনিয়াতে রাশিয়ার একটি বিগ সামরিক ঘাটি আছে।অর্থাৎ, আন্তর্জাতিক ভাবে রাশিয়া তার মিত্রকে হারাতে চায়না, তুরস্কও হারাতে চায়না। চীন নিজেও হারাতে চায়না। তবে ভারতের এই সম্পর্কে বাংলাদেশের সংগে পলিসি কি তা স্পষ্ট নয়, ঢিমেতালে অসন্তোষ বইয়ে গেলেও অন্তরের ক্ষত নিয়ে এগুচ্ছে ।
আমেরিকাও চীনের অপ্রতিহত অর্থনৈতিক ও সামরিক আধিপত্যকে ঠেকাতে পাকিস্তানের সংগে না পেরে ভারতকে আগে থেকেই সামরিক সহযোগিতা করছে , তাতেও চীনের পলিসিকে থামাতে না পেরে অস্থির হয়ে ” বটম লেস বাস্কেট ” রাষ্ট্রকেই ভরসা করতে চাইছে। সেই লক্ষেই মার্কিন ডিফেন্স মিনিস্টার সরাসরি হট লাইনে শেখ হাসিনাকে ফোন দিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যেই বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে সাজিয়ে দিতে চায়। কিন্তু তিস্তার সমস্যা নিয়া কিছু বলেনা, আর চীন তিস্তার উন্নয়নের জন্যে বিশাল বাজেট দিয়েই ফেলেছে , যার কাজ শুরু হবে চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকেই। বাংলাদেশ কে অনেক ভাবতে হবে আমেরিকা ও চীনকে নিয়ে। অবশ্য চীন বাংলাদেশের সব ব্যবস্থার উপরে জোকের মত জেকে ধরেছে, আমেরিকার এই কু মতলব হয়ত কাজে আসবেনা।
ভারতের সাথে বাংলাদেশের এতো গভীর বন্ধুত্ব থাকবার পরেও চীন কিন্তু বলছেনা যে তোমরা ভারতের সাথে সম্পর্ক বাদ দাও। চীন জানে যে ভারতের বাংলাদেশ কে সহযোগিতা করার মত অর্থ নাই, যা আছে চীনের কাছে। চীনের ভাবনা , তারা বাংলাদেশ কে সহযোগিতা করবেই , বাংলাদেশ এক সময় তাদের আসল নকল মিত্র চিনেই নিবে। যেমন নেপাল চিনে নিয়েছে।
Recent Posts

Leave a Comment