কচুয়ায় প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে কলেজ ছাত্রীর অবস্থান

 In কচুয়া উপজেলা, চাঁদপুর

কচুয়া প্রতিনিধি:

কচুয়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করেছেন মনি আক্তার (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ১২ টায় কচুয়া উপজেলার ১১নং গোহাট দক্ষিন ইউনিয়নের চাঁপাতলী গ্রামে।
জানা যায়, মনি আক্তার উপজেলার ১০নং গোহাট ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল করিমের মেয়ে। রহিমানগর শেখ মুজিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। সে প্রেমিক সুজনের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয়। এসময় প্রেমিক সুজনের ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী, বোন ও ভাতিজিরা তাকে মারধর করে বলে মনি আক্তার দাবি করেন।
তিনি বলেন, গত বছরের ১৭ জুলাই থেকে একই উপজেলার চাপাতলী গ্রামের আলী আহমেদের পুত্র সুজনের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরই ফাকে সু-চতুর সুজন তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শাহরাস্তির নিজমেহের এলাকায় তার বড় ভাইয়ের শশুর বাড়ি, শাহরাস্তি, হাজীগঞ্জসহ বেশকিছু জায়গায় তাকে নিয়ে ঘুরে বেরিয়েছে।
গত ৩১ অক্টোবর মনি আক্তার প্রথমবার বিয়ের দাবিতে তার প্রেমিক সুজনের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছিল। ওইসময় সুজনের আত্মীয় স্বজন ও অন্যান্যরা বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিয়ে ওই সময়ে তাকে বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। অবশেষে কোনো সমাধান না পাওয়ায় পূনরায় সে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক সুজনের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে। এসময় তাকে সুজনের পরিবারের লোকজন ব্যাপক মারধর করে টেনে হেচড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয় বলে মনি আক্তার দাবি করেন।
মনি আক্তার আরো জানান, সুজন বিগত দিনে আমাকে বিয়ে করবে বলে নানান ভাবে প্রতারনা করেছে। তাকে বিয়ের কথা বললে বাড়িতে না থেকে বিভিন্ন জায়গা গিয়ে ঘুরে ফিরে নানান অজুহাত দেখিয়ে টালবাহানা করে। আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গা নিয়ে এখন বিয়ে করতে অস্বীকার করায় আমি বিয়ের দাবি করছি। আমাকে বিয়ে না করলে আমি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো।
তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রেমিক সুজনের ভাই মাসুদ মিয়া। তিনি জানান, কিছু বহিরাগত লোকজন তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ওই মেয়েকে ফুঁসলিয়ে তাদের বাড়িতে পাঠিয়েছে। মেয়েটির সাথে তার ভাই সুজনের কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই। তিনি আরো বলেন, আমার ছোট ভাই সুজন কখনো এলাকায় থাকে না। সে বর্তমানে ঢাকায় রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, মেয়েটি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পর বিষয়টি আমরা জেনেছি। এবং সাথে সাথে আমাদের টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে লিখিত কোন অভিযোগ এলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
এ ঘটনায় স্থানীয় উৎসুক লোকজন ছেলের বাড়িতে ভিড় জমিয়েছে। এবং এলাকায় বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

Recent Posts

Leave a Comment