‘অবসর’ কাটাচ্ছেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এখনই দেশে ফিরছেন না। পরিবারের সাথে নিরবিচ্ছিন্ন সময় কাটাচ্ছেন তিনি। দলীয় নেতাকর্মীদের সাথেও দেখা দিচ্ছেন না। আগামী কয়েক দিনও তিনি নেতাকর্মীদের থেকে আলাদা থাকবেন। ঈদের পর তার দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার আসার সময় সূচি চূড়ান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।
লন্ডন বিএনপি ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বেগম জিয়ার পায়ের সমস্যা তাকে আগের চেয়ে বেশি ভুগাচ্ছে। এর মধ্যে একাধিকবার ডাক্তার দেখিয়েছেন তিনি। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর তিনি আবারও ডাক্তারের কাছে যাবেন। এছাড়া ডাক্তার যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়েছেন তার কিছু ফলাফলও পাওয়া যাবে ২২ সেপ্টেম্বর। বেগম জিয়া চিকিৎসার এই পর্ব শেষ না করে দেশে ফিরতে চাচ্ছেন না।
সে ক্ষেত্রে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহের আগে খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার সম্ভাবনা নাই। তবে মাসের শেষে ফেরার বিষয়ে তিনি এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানা গেছে।
লন্ডনের সূত্র জানায়, ঈদের আগে থেকেই খালেদা জিয়া দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে দেখা করা নিয়ন্ত্রিত করেছেন। এমনকি দেশ থেকে লন্ডনে যাওয়া দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বা ভাইস চেয়ারম্যান আউয়াল মিন্টু বা সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদসহ বেশ কয়েকজন তার সাথে দেখা করতে চাইলেও দেখা দেননি খালেদা জিয়া।
লন্ডনে এই মুহুর্তে তারেক রহমানের পরিবার ছাড়াও খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান ও তার দুই কন্যা রয়েছেন। এছাড়া তিনি তার নাতনীর সাথেও সময় কাটাচ্ছেন। তার চিকিৎসার সমস্ত দেখাশোনা করছেন বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান।
ছোট ছেলে কোকো মারা যাওয়ার পর এই প্রথম পারিবারের ঘনিষ্ট সদস্যদের সাথে সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। পরিবারের সদস্যদের পেয়ে তাই অনেকটা আবেগতাড়িতও তিনি। এছাড়াও শারীরিক অসুস্থতায়ও কিছুটা সময় জরুরী না হলে নেতাকর্মীদের দেখা দেওয়া বা রাজনৈতিক সামাজিক অনুষ্ঠানে থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চান বিএনপি প্রধান।
লন্ডন থেকে ফিরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, তারা আশা করছেন বেগম খালেদা জিয়ার ডাক্তার দেখানো এই মাসের মাঝামাঝিই শেষ হবে যাবে। এর পরপরই তিনি দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন।