চাঁদপুরে ১০ বছরেও চালু হয়নি নৌ-অ্যাম্বুলেন্স
চাঁদপুর প্রতিনি্ধিঃ
চালকের অভাবে দীর্ঘ ১০ বছরেও চালু হয়নি চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালের নৌ-অ্যাম্বুলেন্স। ফলে খোলা আকাশের নিচে অযতœ ও অবহেলায় পরিত্যক্ত অবস্থায় ডাঙ্গায় পড়ে রয়েছে সরকারের ৬০ লাখ টাকার সম্পদ। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ জেলাবাসীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
যদিও চাঁদপুরের নদীতীরবর্তী রাজরাজেশ^র, মিয়ারবাজার, ঈশানবালা, বাহেরচরসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবা সহজলভ্য করতেই মন্ত্রণালয় অ্যাম্বুলেন্সটি বরাদ্ধ দেয়। কিন্তু চালক ও জ¦ালানী সঙ্কটে নদীতীরবর্তী মানুষগুলো সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
জানা গেছে, চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালের জন্য ২০০৮ সালে বরাদ্ধ দেয়া হয় ৬০ লাখ টাকা মূল্যের ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সটি। কিন্তু নদী সিকস্তী মেঘনাপাড়ের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য আসা ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সটি বিগত ৮ বছর ধরে খোলা আকাশের নিচে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মুখে বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে পুড়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল। গত দুবছর যাবত এটির স্থান হয় সরকারি হাসপাতালের পুকুর সংলগ্ন ডাঙ্গায়।
এ সম্পর্কে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, জ্বালানি খরচ ও জনবল সঙ্কটে শুরু থেকেই অ্যাম্বুলেন্সটি ডাঙ্গায় অবস্থান করছে। দীর্ঘদিন ধরে অ্যাম্বুলেন্সটি এ অবস্থায় পড়ে থাকায় বর্তমানে তা ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। অথচ বিদেশী অর্থায়ানে বরাদ্দ পাওয়া অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার করতে না পারায় ইতোমধ্যে একাধিকবার ফেরত পাঠাতে চিঠিও দেয়া হয়। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে দু’জন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সরেজমিন পর্যবেক্ষন করে গেলেও এখনো পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের প্রধান সহকারি কাম হিসাব রক্ষক মো. সফিউল আলম জানায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেন্দ্রিয় ঔষধাগারের পক্ষ থেকে নৌ-পথের অ্যাম্বুলেন্সটি ২০০৮ সালের ২ এপ্রিল চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এরপর থেকে একাধিকবার মন্ত্রণালয়ে জনবল চেয়ে আবেদন করলেও লিখিত কোন জবাব এখনো পাইনি।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক প্রদীপ কুমার দত্ত জানায়, অ্যাম্বুলেন্সটির জ¦ালানী খরচ ঘন্টায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। তাই চালক ও অর্থ বরাদ্ধ না থাকায় এটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
চাঁদপুর বিএমএ’র সেক্রেটারী মাহমুদুন নবী মাসুম জানায়, স্বাস্থ্য বিভাগ জোর করে আমাদেরকে অ্যাম্বুলেন্সটি চাপিয়ে দেয়। কিন্তু এরপর কিভাবে তা চলবে সে ব্যাপারে কোন বরাদ্ধ দেয়নি। বাধ্য হয়েই এ পর্যন্ত প্রায় ১০/১৫ বার ফেরত নেয়ার জন্য আবেদন করেও কোন ফল পাইনি।