বৃষ্টিতে চাঁদপুরে বিভিন্ন সড়কের বেহাল দশা
চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুরে গত দু’দিনের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতে শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলোর বেহাল দশায় জণজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। দুর্ভোগে পড়েছে স্কুটার, রিক্সা, অটোবাইকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চালকরা। তবে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে পথচারী ও স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিন দেখা গেছে, গত দু’দিনের থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি টানা বৃষ্টিপাতে শহরের অধিকাংশ সড়কে পানি জমে কাঁদা মাটিতে একাকার হয়ে নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে, চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের ওয়্যারলেস বাজার হতে শুরু করে বাসস্ট্যান্ড ইলিশ চত্বর এবং শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ওইসব রাস্তা দিয়ে গত দুদিন ধরে বাস ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল করলেও ভোগান্তি পোহায় অনেক। গত এক দেড় মাস ধরে শহরেরর সড়কগুলোর সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায় এহেন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানায়।
তবে সড়কগুলোর এহেন পরিস্থিতিতে বেশি বিপাকে পড়েন পথচারী ও ছোট-খাট যানবাহন চালকরা। কাঁদা মাটির সাথে যানবাহনের চাকা আটকে যাওয়ায় ১০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে সময় লাগে এক থেকে দেড় ঘন্টা। শুধু তা-ই নয়, পায়ে হেটে চলাচলকারী পথচারী ও শিক্ষার্থীরা পড়েছেন আরো বিপাকে।
পথচারী মো. শাহআলম, লিটন ঘোষ ও আবুল কাসেম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘদিন পর রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হলেও ধীরগতির কারনে জণজীবন ভোগান্তি পোহাচ্ছে। তাই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের দ্রুত কাজ শেষ করার দাবি জানায় তারা।
এদিকে যানবাহন চালকরা অভিযোগ করে বলেন, শহরের প্রায় প্রতিটি রাস্তার অবস্থাই নাজুক। ফলে গাড়ী চালাতে গিয়ে প্রায়ই যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। এমনকি সময় লাগছেও অনেক বেশি। এ কারনে বর্তমানে আমাদের আয়ের চেয়ে ব্যয়ই বেশি। তাই সংসার চালাতে গিয়েও আমাদের হিমশিম খেতে হয়।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. নাছির উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, সংস্কারের কাজ শুরুর পর থেকেই বৃষ্টির কারনে ব্যাঘাত ঘটছে। এরপরও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য বলা হয়েছে। মূল কথা আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত জণদূর্ভোগ কমানো যায়।