বখাটের দানবীয় প্রতিশোধ!
ওই দিন রাত রাত ১০টার দিকে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য, ওই বখাটে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষুব্ধ হয়ে সে মেয়েটির ওপর এই ভয়াবহ নির্যাতন চালিয়েছে।
এজাহার সূত্রে ও এলাকাবাসী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেয়েটি ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। ছুটি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি বাড়িতে আসেন। মেয়েটির বাবা জানান, গতকাল ভোরে বাড়ির পেছন দিক থেকে তিনি মেয়ের চিৎকার শুনতে পান। লোকজন নিয়ে সেখানে গিয়ে দেখতে পান, তাঁর মেয়ে লজ্জাস্থান চেপে ধরে মাটিতে গড়াগড়ি দিচ্ছেন। কাপড়চোপড় রক্তে ভেসে যাচ্ছে। মেয়েটিকে প্রথমে ঈশ্বরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরে তাঁকে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মেয়েটির বাবার ভাষ্য, মেয়ের মুখে পুরো ঘটনা তিনি শুনেছেন। মেয়েটি তাঁকে জানান, তিনি (মেয়েটি) প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির পেছনে গিয়েছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী ওই বখাটে তাঁর এক সহযোগীকে নিয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। বাড়ির পাশেই নির্জন স্থানে নিয়ে তারা তাঁকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে তারা ব্লেড দিয়ে যৌনাঙ্গ রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়।
মেয়েটির পরিবারের দুই সদস্য বলছেন, অভিযুক্ত ওই বখাটে স্থানীয় একটি কারিগরি কলেজের ছাত্র। মেয়েটিকে সে একাধিকবার প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। এর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। মেয়ের বাবা বলেন, ওই বখাটের কারণেই এসএসসি পাস করা মেয়েকে তিনি আর লেখাপড়া না করিয়ে পোশাক কারখানায় কাজে দিয়ে দেন। এরপরও ওই বখাটের হাত থেকে মেয়েকে রক্ষা করতে পারেননি তিনি।
প্রতিবেশী এক ব্যক্তি জানান, ঘটনার পর ওই বখাটে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। ওই বখাটে ও তার বাবার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় পরিবারটির কারও সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুল আলম খান বলেন, প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় প্রতিশোধ নিতে প্রতিবেশী তরুণ এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মেয়েটি তাঁকে জানিয়েছেন। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।