তবে গত রোববার দ্বিতীয় বাগযুদ্ধে তার বিরুদ্ধে আনীত সব নারী কেলেংকারির অভিযোগ অস্বীকার করেন ট্রাম্প।
সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসের এক সাক্ষতাকারে জেসিকা লিডস নামের এক ভুক্তভোগী নারী জানান, ট্রাম্পের ক্রমাগত অস্বীকার প্রবণতা তাকে এখানে আনতে এবং তার অতীত কাহিনী জানাতে বাধ্য করেছে। তিনি ১৯৮০ সালে নিউইয়র্ক যাওয়ার পথে বিমানে এই পুঁজিপতির পাশের সিটে বসে থাকা অবস্থায় কী ঘটেছিল তা নিউইয়র্ক টাইমসকে বিস্তারিত জানান।
তিনি বলেন, এটা সত্যিকারের একটা অভিঘাত ছিল আমার উপর। যখন আকস্মিকভাবে তার হাতটা আমার পুরো শরীরে স্পর্শ করতে থাকে। তার অনধিকার চর্চাকারী হাতটি আমাকে দখল করতে চাইছিল। এর প্রতিক্রিয়ায় আমি খুব বিরক্তবোধ করছিলাম। কিন্তু সেটা অক্টোপাসের মতো আমাকে জড়িয়ে থাকে। যেন তার ছয়টি বাহু রয়েছে, আমার পুরো শরীরে জড়িয়ে রয়েছে।
‘যদি তিনি আমার শীরের উপরাংশ ভেদ করতে চাইতেন তবে আমি এমন বিমর্ষ হতাম না। কিন্তু যখন আমার স্কার্টের ভেতর প্রবেশ করতে চান তখন বিষয়টা আর গ্রাহ্য করা যাচ্ছিল না।’
তিবি জানান, তিনি ওই সময় বিষয়টি বেশ কয়েকজনকে বলেছেন।কিন্তু এ ব্যাপারে বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো অভিযোগ দেননি। কারণ, এটা পুরুষদের কাছ থেকে আরেকটি অনাকাঙ্খিত সুযোগ পাওয়ার রাস্তা তৈরি করবে।
‘বরং এটাকে নিজেদের ভুল মনে করে সহ্য করেছি।’
আরেক নারী বিচেল ক্রুকসের অভিযোগ ২০০৫ সালে একটি লিফটের মধ্যে ট্রাম্প তার সঙ্গে অনৈতিক আচরণ করেন।
তবে ট্রাম্পের এক মুখপাত্র বিষয়গুলো পুরোপুরি অস্বীকার করেন।
এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের মুখপাত্র জেসন মিলার বলেন, ‘এটা পুরোপুরি অলীক কাহিনী।’
প্রায় এক দশকের বেশি সময় পর গণমাধ্যমে এ ধরণের প্রচারণা আসন্ন নির্বাচনে ট্রাম্পকে পরাজিত করার প্রয়াস বলেও বিবৃতিতে দাবি করা হয়।
একটি টিভি সাক্ষাতকারে ট্রাম্প এ ধরনের মন্তব্য সম্পর্কে উপস্থাপক বিলি বুশকে বলেন, ‘বিষয়টা বদ্ধ ঘরে আলোচনার মতো।’ ওই সাক্ষাতকারে তিনি ক্ষমা চেয়ে এ ব্যাপারে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের নারী কেলেংকারির বিষয়গুলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করেন।
গত সপ্তাহের আগে মানবাধিকার আইনজীবী গ্লোরিয়া অলরিড বলেন, তিনি অনেক নারীর কাছ থেকে ট্রাম্পের অনৈতিক আচরণের অভিযোগ পেয়েছেন। সূত্র : স্কাই নিউজ।