বানারীপাড়া থানার ইনচার্জ মো. জিয়াউল আহসান বলেন, ‘ট্রলার ডুবির ঘটনায় ট্রলার মালিক ও হেলপারের বিরুদ্ধে বানারীপাড়া থানায় মামলা হয়েছে। মালিক নিজেই ট্রলারটির চালক হিসেবে কাজ করতেন। তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।’
‘আসামিদের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিরা অধিক লাভের আশায় অবৈধভাবে যাত্রী বহন করেন। তাদের অবহেলার কারণে লঞ্চ ডুবে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।’
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বানারীপাড়া লঞ্চঘাট থেকে ৬০ জনের মতো যাত্রী নিয়ে হাবিবপুর যাওয়ার পথে সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের দাসেরহাটে সন্ধ্যা নদীতে ডুবে যায় ট্রলারটি। এ ঘটনায় ২৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ট্রলারডুবির ঘটনায় শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে সাঁতরে তীরে ওঠা যাত্রীরা জানান, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বানারীপাড়া লঞ্চঘাট থেকে ৫০-৬০ জন যাত্রী নিয়ে হাবিবপুর যাচ্ছিল ‘ঐশী প্লাস’ নামের ট্রলারটি। সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের দাসেরহাট ঘাটে ভিড়তে গিয়ে নদী পাড়ের একটি বড় অংশজুড়ে মাটি ভেঙে পড়লে সেখানে ঘূর্ণিপাকের সৃষ্টি হয়। এতে স্রোতের তোড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।
এ ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনকে প্রধান করে ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।