বৈঠক সূত্রে আরো জানা যায়, বৈঠকে মন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করেন। এছাড়া ঈদে অপ্রত্যাশিত যানজট, আগামীতে ঈদ যাত্রায় সড়ককে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করা এবং রাস্তার পাশকে দখলমুক্ত করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
ঈদের আগে ও পরে সড়কে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের মুখে ওভারটেকিং এর বিষয়টি জোরালোভাবে উঠে আসে।
বৈঠকে জানানো হয়, অধিকাংশ দুর্ঘটনাই ঘটেছে যাত্রীবাহী দূরপাল্লার বাসের ওভারটেকিংয়ের কারণে। বিশেষ করে দূরপাল্লার নন-এসি বাস হানিফ পরিবহন, এনা পরিবহন, শ্যামলী, এসআর পরিবহনের মতো গাড়িগুলো দ্রুততম সময়ে একাধিক ট্রিপ দেওয়ার উদ্দেশ্যে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানোর প্রতিযোগিতায় মেতে উঠে। এতে করে ঘন ঘন ওভারটেকিং’র ঘটনাও ঘটে। সে কারণেই দুর্ঘটনার হার বেড়ে যায় আশঙ্কাজনক হারে।
বৈঠক সূত্র জানায়, হাইওয়েতে চলাচলকারী মাইক্রোবাস নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সবার বক্তব্য শুনে ওপরের চারটি নির্দেশনা দেন। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সাম্প্রতিক সড়ক দুর্ঘটনা। মন্ত্রী নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, এই চারটি বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
এদিকে বিকেলে রাজধানীর এলনবাড়ীতে অবস্থিত বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি(বিআরটিএ) কর্তৃপক্ষ ঈদ পূর্ব ও পরবর্তী পরিবহন ব্যবস্থাপনা, সড়ক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে জরুরি বৈঠক করেছেন। সেখানেও উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।