এর আগে রোববার বিকেলে বিছানা থেকে তুলে হুইল চেয়ারে বসানো হয় খাদিজাকে।
খাদিজার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তার মামা আব্দুল বাছিদ জানান, চিকিৎসার একটি অংশ হিসেবে তাকে হুইল চেয়ারে বসানো হয়।
এ সময় খাদিজার কোমরে বেল্ট বেঁধে হুইল চেয়ারে প্রায় ২০ মিনিট এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ঘুরানো হয়।
এদিকে খাদিজা কাউকে চিনতে পারছে না বলেও জানান তার মামা বাছিদ। তিনি বলেন, ‘খাদিজার নাম ধরে ডাক দিলে চোখ খুলে তাকায়। কিন্তু কাউকে চিনতে পারছে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি আর খাদিজার বড় ভাই দু’জনে অনেক বার খাদিজা খাদিজা বলে ডেকেছি কখনো চোখ খুলে সাড়া দেয়, আবার কখনো দেয় না। আমাদের চিনতে পারছ কি না জিজ্ঞেস করলে কোনো সাড়া দিচ্ছে না খাদিজা।’
খাদিজার গলায় নল লাগানো রয়েছে বলে সে কথা বলতে পারছে না। আগামী সপ্তাহে তার গলার নল খোলা হয়ে পারে। সেই সময় খাদিজা কথা বলবে বলে চিকিৎসাদের ধারণা।
গত ৩ অক্টোবর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম সিলেট এমসি কলেজের পুকুর পাড়ে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।
ওই ঘটনার পর প্রথমে খাদিজাকে সিলেটে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৪ অক্টোবর ভোরে ঢাকায় আনা হয়। ওই দিন দুপুরে স্কয়ার হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা তাকে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখেন।
