সিএনএন এর নির্বাচনী জরিপ অনুযায়ী বাগযুদ্ধের পর ৫৭ শতাংশ মানুষ হিলারির পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন। অপরদিকে, মাত্র ৩৪ শতাংশ মানুষ মনে করেন ট্রাম্প ভালোই করছেন।
বেশ নাটকীয়ভাবে এই দ্বিতীয় পর্যায়ের বাগযুদ্ধ শুরু হয়। তবে তিক্ততা ছিল আগের মতোই। একে অপরকে নাজেহাল করার দিক থেকে এগিয়ে ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প হিলারির স্বামী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের নারী কেলেংকারির বিষয়টিও বাগযুদ্ধে নিয়ে আসেন। তিনি হিলারিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘ মার্কিন রাজনীতিতে এমন বাজে লোক আর কখনই আসেনি।’
বরাবরই ট্রাম্প নারী বিদ্বেষী মন্তব্য করলেও উপস্থিত দর্শকদের তিনি বলেন, ‘আমি নারীদের বেশ শ্রদ্ধা করি। আমার চেয়ে নারীদের বেশি শ্রদ্ধা করে এমন লোক দুনিয়াতে নাই।’
বিতর্কে হিলারি নারীদের অবমাননা করার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন। ২০০৫ সালের একটি ভিডিওচিত্র প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন। এতে দেখা যায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প নারীদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করছেন।
অপরদিকে হিলারির ব্যক্তিগত ই-মেইলের ব্যাপারে ট্রাম্প বলেন, তিনি ক্ষমতায় থাকলে হিলারি ক্লিনটনকে কারাগারে যেতে হবে।’
কর ফাঁকি দেওয়া প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, হিলারির বন্ধু ওয়ারেন বাফেটের চেয়ে তিনি কোটি কোটি ডলার বেশি কর পরিশোধ করেছেন। তিনি বলেন, ‘হিলারি আপনাদের কর বাড়িয়ে দিতে যাচ্ছেন।’
এদিকে, বিতর্ক শুরুর কিছুক্ষণ আগে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ট্রাম্প। এতে তিনি এমন তিন নারীকে হাজির করেন, যাঁরা বিল ক্লিনটনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছিলেন।
ট্রাম্প বলেন, ২০০৫ সালের অশালীন মন্তব্য নিয়ে তিনি গর্বিত নন। তবে তিনি বলেন, রাজনীতির ইতিহাসে বিল ক্লিনটন সবচেয়ে বেশি নারী নির্যাতন চালিয়েছেন।
বিতর্কের শেষ ভাগে সবচেয়ে চমকপ্রদ প্রশ্নটি আসে দর্শকসারি থেকে। দু’জন প্রার্থীকে জিজ্ঞাসা করা হয় একে অপরের কোন দিকটিকে শ্রদ্ধা করেন সেটি নিয়ে। হিলারি জবাবে বলেন, আমি ট্রাম্পের ছেলে মেয়েকে দেখি আর ভাবি, ট্রাম্পকে নিয়ে যত কথাই হোক, তার ছেলে মেয়েরা ঈর্ষণীয়। তাদেরকে দেখি আর আমার শ্রদ্ধাবোধ বেড়ে যায়। ট্রাম্প তার কথাকে একটি কম্লিমেন্ট বা প্রশংসা হিসেবে নিয়ে বিগলিত হয়ে যান হিলারির প্রতি। জবাবে ট্রাম্প হিলারি সম্পর্কে শ্রদ্ধাবোধ জানাতে গিয়ে তার মনের কথাটিই বলে ফেলেন। বলেন, হিলারি ইজ এ ফাইটার। সে কখনই মাঠ ছেড়ে যায়নি, তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে, যেটা আমার কাছে মনে হয় অনুকরণীয়। সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।