সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার ইকবাল বলেন, ‘মিতু হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দু’জন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রধান আসামি মুছার নেতৃত্বে একটি দল এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। মুছা নিজ থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে না কারো নির্দেশে করেছে তা জানার জন্য তাকে গ্রেফতার করা জরুরি।’
চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে ৫ জুন ভোরে এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে গুলি ও ছুরিকাঘাত হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন বাবুল আক্তার।
গত ২৬ জুন আদালতে মিতু হত্যা মামলায় গ্রেফতার দুই আসামি ওয়াসিম ও আনোয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে, হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয় মুছা, ওয়াসিম ও নবি। বাকি আরো তিনজন ব্যাকআপ ফোর্স হিসেবে ছিল। তারা হলো আনোয়ার, রাশেদ, কালু ও শাহজাহান।
আলোচিত মিতু হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক রয়েছেন প্রধান আসামি মুছা। তাকে ধরতেই এ পুরস্কার ঘোষণা।
যদিও মুছার স্ত্রীর দাবি করেছেন, তার স্বামীকে ২২ জুন ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। তবে মুছার স্ত্রীর দাবি অস্বীকার করে আসছে পুলিশ।