১০ বছর দেশে গণতন্ত্র নেই : ফখরুল

 In শীর্ষ খবর

 

১০ বছর ধরে দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত কচি-কাঁচার মেলা মিলনায়তনে শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ লেবার পার্টির ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।

সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ লেবার পার্টি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘২০০৬ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত এই ১০ বছর  বাংলাদেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। মানুষের সকল অধিকার হরণ করে নেওয়া হয়েছে। জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই। বরং সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার নীলনকশা বাস্তবায়নে উঠে-পড়ে লেগেছে।’

আওয়ামী লীগ ভোটবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভালো করেই জানে যে, দেশের মানুষ মত প্রকাশের ও ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেলে তাদের কোনো চিহ্নও থাকবে না। তাই তারা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চায়।’

আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী কথাবার্তা হাস্যকর মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আওয়ামী লীগের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যর মধ্যে অন্তর্নিহিত রয়েছে সন্ত্রাস। সেই সন্ত্রাসী মনোভাব, অহমিকা ও দাম্ভিকতা তাদেরকে গণতান্ত্রিক আচরণ থেকে অনেক দূরে নিয়ে গেছে। তাই আওয়ামী লীগ যখন সন্ত্রাস বিরোধী কথাবার্তা বলে তখন বড় ‘হাস্যকর’ বলে মনে হয়।”

আওয়ামী লীগ নির্বাচনের কথা বললেও, কে করবে নির্বাচন, কার অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সে ব্যাপারে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আলোচনার কোনো আভাস দেখা যাচ্ছে না- বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।

বর্তমানে দেশে চরম দুঃসময় চলছে উল্লেখ করে তিনি দল ও জোটের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘কারও কথায় বিভ্রান্ত হবেন না। এই দুঃসময়ে সাহসী নেত্রী খালেদা জিয়ার বিকল্প নেই, তার নেতৃত্বেই আন্দোলনের মাধ্যমে জোর করে ক্ষমতায় বসে থাকা শাসক দলকে পরাজিত করতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদি, এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদসহ ২০ দলীয় জোটের বিভিন্ন নেতা কর্মী।

Recent Posts

Leave a Comment