দীপন-নিলয় হত্যায় খায়রুলের দায় স্বীকার

 In আইন আদালত

 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন ও ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয় হত্যার দায় স্বীকার করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নেতা খায়রুল ইসলাম।

খায়রুলকে শুক্রবার রাত ৯টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দারা। শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন এ তথ্য জানান।

আবদুল বাতেন জানান, খায়রুল ইসলাম মূলত: আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের তথ্য প্রযুক্তি শাখার প্রধান। তবে সে রিফাত,ফাহিম, জিসান,জামিল নামে পরিচিত ছিলেন।

তিনি আরও জানান, ব্লগার-প্রকাশকদের হত্যাসহ যেসব জঙ্গি হামলা হয়েছে তার নির্দেশনা সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়ার কাছ থেকেই এসেছিল। মেজর জিয়া দেশের ভেতরে আছেন এবং আত্মগোপনে রয়েছেন। মাসখানেক আগে ঢাকায় কোনো এক জায়গায় জিয়ার সাক্ষাৎ হয়েছে বলেও খায়রুল গোয়েন্দাদের কাছে স্বীকার করেছে।

আবদুল বাতেন জানান, ২০১৪ সাল থেকে সংগঠনের তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করে আসছিলেন খায়রুল। তিনি ইন্টারনেটে নজরদারি করতেন, তথ্য বিশ্লেষণ করতেন। সম্ভাব্য টার্গেটের বিষয়ে বড় ভাইকে তথ্য জানাতেন। এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ‘টার্গেট’ ঠিক করতেন সংগঠনের বড় ভাই মেজর জিয়া। পরে টার্গেটের বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করা হতো এবং বড় ভাইকে তা জানানো হতো।

আবদুল বাতেনের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে খায়রুল জানিয়েছেন, চাকরিচ্যুত মেজর জিয়ার নির্দেশেই দীপন ও নিলয়কে হত্যা করা করা হয়।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর অফিসে দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়ের বইয়ের প্রকাশক ছিলেন তিনি। হত্যার পর আনসারুল্লাহ বাংলা টিম ওই খুনের দায় স্বীকার করে।

একই বছরের ৭ আগস্ট রাজধানীর গোড়ানে নিজ বাসায় ব্লগার নিলয়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই দিনই এ হত্যার দায় স্বীকার করে জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ (একিউআইএস) শাখার নামে বিবৃতি দেওয়া হয়। এ হত্যাকাণ্ডের পর আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের বেশ কয়েকজন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

Recent Posts

Leave a Comment