২০০৮ ও ২০১৩ সালে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে সম্পদের তথ্য গোপন পূর্বক মিথ্যা তথ্য প্রদান ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া তার হলফনামার সূত্র ধরে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আবদুর রহমান বদি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা মূল্যমানের সম্পদ গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের বৈধতা দেখানোর জন্য কম মূল্যের সম্পদ ক্রয় দেখিয়ে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩ হাজার ৩৭৫ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি দেখানোর অভিযোগেএ মামলা হয়।
এ মামলায় ২ নভেম্বর সম্পদের তথ্য গোপনের দায়ে আবদুর রহমান বদিকে ৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশও দেওয়া হয়।
সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দু’টি ধারায় মামলাটি করে দুদক। তবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের ধারাটি আদালতে প্রমাণিত হয়নি এমপি বদির বিরুদ্ধে।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ১০ নভেম্বর আপিল করেন বদি। বুধবার শুনানির জন্য আপিল গ্রহণ করে হাইকোর্ট বদিকে ছয় মাসের জামিন দিয়ে জরিমানা স্থগিত করেন