খালেদা জিয়া বলেন, ‘নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরশন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। নির্বাচন কালীন সরকার নিরপেক্ষ না হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। যেন তেন নির্বাচন কমিশন দিয়েও নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়। তাই স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের সাথে সাথে একটি নির্বাচন কালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নাই। আওয়ামী লীগের জন্য এক রকম আইন আর অন্য সকলের জন্য আরেক রকম আইন। আওয়ামী লীগের লোকেরা অন্যায় করেও পার পেয়ে যায়; বিচার হয় না। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সাথে আওয়ামী লীগের লোকেরা জড়িত। এদের ধরলেই সব বের হয়ে আসবে। কারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত।’
আওয়ামী লীগের আমলে কোনো ধর্মের লোক নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সংখ্যালঘুরা আওয়ামী লীগের আমলে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে। হিন্দুদের জায়গা দখল করা হয়েছে। কিন্তু বিএনপি মুসলমান, হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানসহ অন্যান্য ধর্মের লোকদের সমান ভাবে দেখে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সকল ধর্মের লোকদের নিয়ে কাজ করেছেন। তিনি সকলকে দলের কাজ করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা সকলকে নিয়ে কাজ করতে চাই।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ হোসেন, ড. মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যালবার্ট পিকস্তাসহ বিএনপি ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকজন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।