চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধে ভাঙ্গন আতঙ্ক

 In চাঁদপুর, প্রধান খবর, লিড নিউজ, শীর্ষ খবর

স্টাফ রিপোর্টারঃ
চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার হরিসভা এলাকার শহর রক্ষা বাঁধের প্রায় ৩০০ মিটার এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন আতঙ্ক।

গতকাল ২৯ মার্চ ভোরের দিকে হরিসভা এলাকার মরণসাহার বাড়ির পাশে শহর রক্ষা বাঁধের বেশ খানিকটা জায়গা জুড়ে থাকা সিসি বস্নক নদীতে দেবে যায়। ফলে এলাকাবাসীর মাঝে ভাঙ্গন আতঙ্ক দেখা যায়। বস্নক দেবে যাওয়ার সংবাদ শুনে অনেকেই ছুটে আসেন তা দেখার জন্যে। বিকেলে ভাঙ্গনের স্থান দেখার জন্যে চাঁদপুর চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, সহ-সভাপতি তমাল কুমার ঘোষ, চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আশ্রাফুজ্জামান, কেএম তোফায়েল আহমেদ ঘটনাস্থলে আসেন।

এ সময় এলাকার কেদারনাথ চক্রবর্তী, জয়দেব সাহা, কার্তিক সরকার (মাস্টার), সঞ্জীব চক্রবর্তী, মানিক সাহা অনেকেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তারা জোর দাবি জানান, জরুরি ভিত্তিতে বস্নক বা বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার জন্যে। তারা বলেন, প্রতি বছরই বর্ষার মৌসুমে নদীর পানির তীব্র স্রোতের কারণে শহর রক্ষা বাঁধে স্থাপনকৃত সিসি বস্নক সরে গিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। পরবর্তী সময় তা আর রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় বস্নকের নিচের অংশের মাটি সরে গিয়ে ভাঙ্গন আরো বড় হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। তারা মেঘনা নদীর এ স্থান দিয়ে চলাচলরত ঢাকা-বরিশালগামী গ্রীনলাইন লঞ্চ সার্ভিসকেও ভাঙ্গনের জন্যে দায়ী করেন। তারা বলেন, গ্রীনলাইন প্রবল গতিতে যাওয়া আসার ফলে প্রচ- ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। বিশালাকার এ সকল ঢেউ প্রবল গতিতে সিসি বস্নকে আঘাত হানলে এ সকল বস্নক নড়ে যায় এবং তলদেশের মাটি সরে গিয়ে এক সময় ওই স্থানে ভাঙ্গন দেখা দেয়।

চেম্বার সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাসহ জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, গ্রীনলাইন লঞ্চটি যাতে চাঁদপুর-হাইমচর শহর রক্ষা বাঁধের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় গতিবেগ কমিয়ে দেয়। সেই ব্যাপারে যেনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করেন। জানা যায়, গ্রীনলাইন লঞ্চটি যখন এ স্থান দিয়ে যাওয়া আসা করে তখন নদী তীরবর্তী জেলে নৌকাসহ সকল ধরনের ছোট-বড় নৌযান আতঙ্কের মাঝে থাকে।

বর্তমান সময় হরিসভা এলাকার প্রায় তিনশ’ মিটার স্থান ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। কোন কোন স্থানে পানির গভীরতা প্রায় ৪০ থেকে ৫০ মিটার। অনেকেই মনে করেন, যখনই বড় ধরনের ভাঙ্গন দেখা দেয় তখন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাগণ তা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করেন। তবে ভেঙ্গে যাওয়া স্থান আর ফিরে আসে না। যদি ভাঙ্গনের পূর্বে প্রয়োজনীয় তদারকি বা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতো তাহলে হঠাৎ হঠাৎ ভাঙ্গন দেখা দিতো না।

Recent Posts

Leave a Comment