কবি মাহবুব হাসানের জন্মদিন আজ

 In শিল্প-সাহিত্য

দশকের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কবি মাহবুব হাসানের জন্মদিন আজ। ১৯৫৪ সালের ২৮ এপ্রিল টাঙ্গাইলে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মাহবুব হাসান একাধারে কবি, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক । বর্তমানে নিউ ইয়র্ক প্রবাসী।

তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৪০টিরও বেশি। একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব হাসান তার পড়াশোনা এবং লেখালেখি সম্পর্কে বলেন-বই পড়ি খুব ছেলেবেলা থেকে। আব্বা আর মা-কে বই পড়তে দেখতাম। তাদের কাছে থেকেই বই পড়তে শেখা। তবে আব্বার চেয়ে মাকে বেশি পড়তে দেখেছি। আমাদের গ্রামের বাড়িতেই কিছু বইয়ের সংগ্রহ ছিলো। আর আব্বাও বই কিনে আনতেন। আমি নিয়মিত বই পড়তে, মানে সাহিত্যের বই, গল্প-উপন্যাস পড়তে শুরু করি ক্লাশ সেভেন থেকে। সেটা ১৯৬৭/৬৮ সাল হবে।

আমি রবীন্দ্রনাথের আগেই জীবনানন্দ দাশের কবিতা পড়েছি। কারণ ওই বইটি ছিলো আমার অগ্রজ ড. মাহবুব সাদিকের। তিনি বাংলা সাহিত্য পড়তেন। তার কারণেও অনেক বই আমার পড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিলো। লিখতে শুরু করি মূলত ১৯৭০ সালে। গল্প পড়তাম বলে গল্প লিখতেই চেষ্টা করেছিলাম। বামপন্থী রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়েছিলাম সেই অল্প বয়েসেই, তাই কল্পনাটি ছিলো গরিবদের পক্ষে লেখার। কলেজে ঢোকার পর আমার পড়ার আগ্রহে কবিতা বেশি সময় দখল করে নেয়। ওই সময় তিরিশি কবি আর চার-এর দশকের কবিদের কবিতা পড়েছি গোগ্রাসে। পড়েছি, কিন্তু বোঝার জন্য যে দরোজাটির পাল্লা খোলা প্রয়োজন ছিলো সেটির দেখা তখনো পাইনি। কারণ ওই সব কবির রচনা নিয়ে কারো বিশ্লেষণই পড়িনি তখনও।

কেন কবি এই সব শব্দ প্রয়োগ করেছেন, তার ব্যাখ্যা জানার পর বুঝলাম কবিতা হলো সিম্বলিক শিল্প। তখন সিম্বল কি এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে জানলাম। আর তাই কবিতাই হয়ে উঠলো আমার আকর্ষক শক্তি। বলা যায় ১৯৭২ সাল থেকেই আমি কবিতায় সমর্পিত। তখন দৈনিক আজাদ-এ আমার কবিতা ছাপা হয়েছে। তার আগে লিটল ম্যাগে যদিও আমার দু-একটি কবিতা উঠেছে, কিন্তু সেগুলোর কথা না তোলাই ভালো। সাত্তুরের দশকে অনেক লিটল ম্যাগ বেরুতো দেশের বিভিন্ন জেলা শহর থেকে। আমাদের টাঙ্গাইল শহর থেকেও বেরুতো।

জন্মদিনে পক্ষ থেকে কবিকে জানাই শুভেচ্ছা।

Recent Posts

Leave a Comment