কে বড় মমতা না মোদি?
তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে ভারতের টালবাহানার কড়া সমলোচনা করেছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা (বি) চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি অভিযাত্রার সময় আমরা তিস্তার পানির জন্য চাতক পাখির মতো তাকিয়ে ছিলাম। মমতা রাজি হননি, তাই মোদি দিলেন না। প্রশ্ন কে বড়- দিল্লি, না কলকাতা? মমতা না মোদি?’
বাংলা নববর্ষ-১৪২৪ উপলক্ষে বিকল্পধারার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুক্রবার বিকালে এক আলোচনা সভায় বি চৌধুরী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘টিভিতে দেখলাম মমতা বলেছেন- আমাদের তিস্তার জল নেই, কোথা থেকে দেব? তিস্তার বদলে চারটি খালসম নদী দেখিয়ে দিলেন। প্রশ্ন হলো- তিস্তাতে জল যদি না-ই থাকে, ওটা বাংলাদেশকে দিতে বাধা কোথায়?’
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য আরও চমকপ্রদ- কুছ তো মিলা, পানি মাংগা তো ইলেকট্রিসিটি মিলা। তা হলে বাংলাদেশের মানুষ কী আশায় আশায় কামান চেয়ে গুলতি পেয়েই খুশি থাকব?’
তিনি বলেন, দিল্লি সফরের পর প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্যে বেশ কিছু অস্পষ্টতা ও গরমিল দেখা যাচ্ছে। হেফাজতের দাবি মেনে নিয়ে দাওরাকে মাস্টার্সের মান দেয়া ও গ্রিক মূর্তি অপসারণ করার কথা বলেছেন তিনি। এগুলো নির্বাচনমুখী সমর্থন আদায়ের প্রচেষ্টা কি না রাজনৈতিক মহল ভাবতে শুরু করেছেন।
বি চৌধুরী বলেন, ‘আমরা শান্তি-শৃংখলা, সুশাসন এবং গণতন্ত্রের অবমুক্তি দেখতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর পরিবর্তন লক্ষণীয়, তবে সমালোচনার কিছু নেই। যেহেতু এটা এক ধরনের রাজনৈতিক দাবার চাল, নির্বাচনের প্রাক্কালে এগুলো হয়েই থাকে। তাহলে নির্বাচন কি অতি আসন্ন?’
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট শাহ আহাম্মেদ বাদল, মঞ্জুর রাশেদ, মাহফুজুর রহমান, জানে আলম হাওলাদার, ড. নোমান, আইনুল হক, ওবায়েদুর রহমান মৃধা, বিএম নিজাম, মাওলানা মো. কবীর হোসেন, আমিনুল ইসলাম বুলু, ভূদেব চক্রবর্তী প্রমুখ। আলোচনা শেষে দলীয় শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।