আরাফাতের ময়দানে সমবেত হবেন ২৫ লাখ মুসলমান
আগামী ৩১ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র হজ। লোকজন ৮ই জিলহজ (৩০ আগস্ট) মক্কা থেকে তাবুর নগরী মিনার উদ্দেশে রওনা হবেন এবং সেখানে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন।
৯ জিলহজ (৩১ আগস্ট) ফজরের নামাজের পর থেকে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হতে থাকবেন বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা লাখ লাখা ধর্মপ্রাণ মুসলমান।
বেলা ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে আরাফাতের ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুৎবা দেয়া হবে। খুৎবা শেষে এক ইকামতে যোহর এবং আসরের নামাজ একসঙ্গে আদায় করবেন হাজিরা। সূর্য পশ্চিম দিকে হেলে যাওয়ার পর হাজিরা আরাফাত থেকে মুযদালিফার উদ্দেশে রওনা হবেন। সেখানে খোলা আকাশের নিচে যাত্রী যাপন করবেন। মুযদালিফায় গিয়ে মাগরিব এবং ইশার নামাজ একসঙ্গে আদায় করবেন হাজিরা। মুযদালিফায় থাকা অবস্থায় প্রতীকী শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য ছোট ছোট ৭২টি পাথর সংগ্রহ করবেন।
১০ জিলহজ্ব (১সেপ্টেম্বর) মুযদালিফায় ফজরের নামাজ আদায় করে সূর্যোদয়ের পর মিনায় পৌঁছে বড় জামারা (বড় শয়তান)কে ৭টি পাথর নিক্ষেপ করবেন। সেখানে থেকে ফিরে পশু কোরবানি দিয়ে মাথা মুন্ডন করে ইহরাম খোলে স্বাভাবিক পোশাক পরে মক্কায় গিয়ে কাবা শরীফ তাওয়াফ করবেন।
কাবার সামনের সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে ‘সাঈ’ (সাতবার দৌড়াবেন) করবেন। সেখান থেকে তারা আবার মিনায় যাবেন। সেখানে আরও এক বা দুইদিন অবস্থান করে হজের অন্য আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করবেন। মিনার কাজ শেষে আবার মক্কায় বিদায়ী তাওয়াফ করার পর যারা মদিনায় যাননি, তারা মদিনায় যাবেন।
হযরত ইব্রাহীম (আ.) এর সময় থেকে শুরু এই হজের মাধ্যমে বান্দার জন্য আল্লাহর রহমত ও নেয়ামত বর্ষিত হতে থাকবে যুগ যুগ ধরে পৃথিবীর শেষ দিন অবধি।