চাঁদপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অফিসে অনিয়মিত!
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বার্হী প্রকৌশলী সুব্রত দত্তসহ কতেক কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়মিত অফিস করেন না। অফিস এটেনডেন্স এর ব্যাপারে সরকারি নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখাচ্ছেন তারা। দীর্ঘ বিরতি পরপর অফিসে আসায় অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীর উপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। তারাও তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রতি হেয়ালিপনা করছেন। এ কারণে সড়ক বিভাগের অভ্যন্তরেই কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাঝে নিরবে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। ঠিকাদাররাও তাদের নিয়ম মাফিক কাজ করতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। গত ১৮দিনের মধ্যে মাত্র একদিন সুব্রত অফিস করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তালিকাভুক্ত ঠিকাদার।
এমন আরো কয়েকজন ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, দশ দিনের খাবার একদিনে খাওয়া নিশ্চয় অসম্ভব। অথচ সুব্রত দত্ত তার ইচ্ছে মতো দশ পনের দিন বিরতি দিয়ে দিয়ে অফিস করেন। আমরা যেহেতু ঠিকাদার কিছু বলারও সাহস পাই না। যদিও আমরা অনেক কিছুই জানি। কোনো ব্যাপারে মুখ খুলতেও চাই না।
শুধু নির্বাহী প্রকৌশরী সুব্রত দত্তই নয়, নিয়মিত অফিসে না আসা ও দায়িত্ব অবহেলা করছেন আরো কতেক কর্মকর্তা। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন, সহকারী প্রকৌশলী শংকর চন্দ্র পাল, উপ-সহকারী প্রকৌশলী রতন কুমার চক্রবর্তী ও মোঃ রমিজ উদ্দিন। এব্যাপারে শংকর চন্দ্র পাল বলেন, আমি অফিসের প্রয়োজনেই বাহিরে থাকতে হয়। বিশেষ করে ডিসি অফিসের মিটিং এ আমাকে নিয়মিত যোগ দিতে হয়। এছাড়া রতন কুমার ও রমিজ উদ্দিন উন্নয়ন প্রকল্প ও জেলা সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর কাজ করায় মাঠে অবস্থান করতে হয়। তাই তারাও অফিসে নিয়মিত অবস্থান করতে পারেন না।
অফিসে অনিয়মিত থাকার ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত দত্ত জানান, এটা কোনো ব্যাংক না যে টাইম টু টাইম অফিস করতে হবে। আমাদের বাহিরেই কাজ করতে হয় বেশি।
অথচ ‘দি পাবলিক এমপ্লয়েজ ডিসিপ্লিন (পানচুয়াল এটেনডেন্স) অধ্যাদেশ ১৯৮২ অনুযায়ী সকল সরকারি কর্মকর্তার সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে অবস্থান করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের ওয়েব সাইটে ব্রাউজ করে দেখা যায় বর্তমানে ছয়টি প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। এরমধ্যে বাবুরহাট-মতলব-পেন্নাই সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়), মতলব-মেঘনা-ধনাগোদা-বেড়ীবাঁধ সড়কের (জেড-১০৬৯) অবশিষ্টাংশ উন্নয়ন প্রকল্প, গৌরিপুর-কচুয়া-হাজিগঞ্জ সড়কে বাঁক সরলীকরণসহ ৪৪.০২মিটার দীর্ঘ সাচার সেতু এবং ৪টি আরসিসি কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্প, মতলবে ধনাগোদা নদীর উপর ৩০৪.৫১ মিটার দীর্ধ পিসি গার্ডার সেতু (মতলব সেতু) নির্মাণ প্রকল্প, চাঁদপুর-নানুপুর-চান্দ্রা-কামতাবাজার-রামগঞ্জ সড়কের (জেড-১৪১২) অবশিষ্টাংশ (চাঁদপুর অংশ) উন্নয়ন প্রকল্প ও জেলা সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়)।