বউয়ের যন্ত্রণায় নীরবে কাঁদে পুরুষ!
পুরুষ শাসিত এই সমাজে সব সময়ই আলোচনায় আসে নারী নির্যাতনের খবর। তবে সংসারে কি শুধুই নারীরা স্বামীদের দ্বারা নির্যাতিত হন? পুরুষরা কি নারীদের দ্বারা নির্যাতিত হন না? পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ আন্দোলন নামের একটি সংগঠন বলছে, সমাজে অনেক পুরুষই বউয়ের যন্ত্রণায় নিরবে কাঁদেন। লোকচক্ষুর আড়ালে গিয়ে চোখ মোছেন..।
সংগঠনটি সমাজে নির্যাতিত এসব পুরুষের জন্য পুরুষ নির্যাতন দমন আইন পাসের জোরালো দাবি জানিয়েছে। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘নীরবে কাঁদে পুরুষ দেখার কেউ নাই, পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ আইন চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়। এ সময় তারা বিভিন্নভাবে পুরুষ নির্যাতিত হওয়ার বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন।
পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ আন্দোলনের সভাপতি শেখ খায়রুল আলম বলেন, ‘আমরা নারী নির্যাতনের কথা বলি, আন্দোলন করি। পুরুষ নির্যাতনের কথা বলি না। অনেক পুরুষ বউয়ের যন্ত্রণায় নীরবে কাঁদেন, পুরুষদের বিষয়টি দেখার কেউ নেই। বিষয়টি হয়তো হাস্যরসের সৃষ্টি করছে। কিন্তু বিষয়টি প্রচারে না আসলেও সত্য। অনেক পুরুষ চক্ষুলজ্জায় বিষয়টি গোপন রাখেন।’
তিনি বলেন, ’নারীদের সামান্য কিছু বললেই যৌতুক ও নারী নিযার্তনের মামলা দেয়। পুরুষরা নির্যাতিত হয়েও কিছু বলতে পারেন না। তবে পুরুষরা শুধু বাড়িতেই নয়, ঘরের বাইরেও নানাভাবে নিযার্তনের শিকার। পুরুষেরা তাদের আত্মসম্মানের জন্যই লুকিয়ে কাঁদেন। দিনের পর দিন বালিশ ভেজান।’
খায়রুল আলম আরো বলেন, ‘দেশে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে অনেক আইন থাকলেও পুরুষ নির্যাতন রোধে কোন আইন নেই। স্বামীকে সামান্য অপরাধে শায়েস্তা করতে স্ত্রীরা যৌতুক-নারী নির্যাতনের মামলা দিচ্ছেন। হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।’
তিনি বলেন, ‘পুরুষ নির্যাতন রোধে কোন আইন না থাকায় পুরুষরা অসহায়। অনেকেই আত্মহননের মতো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই যতো দ্রুত সম্ভব পুরুষ নির্যাতন দমন আইন পাস করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
সভায় বক্তারা বলেন, ‘আমরা অবশ্যই নারী বিদ্বেষী নই। তবে নির্যাতিত পুরুষদের জন্য পুরুষ নির্যাতন দমন আইন চাই। আইনটি বাস্তবায়ন হলে পুরুষরা নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পাবেন। যেসব নারী নারী নির্যাতন আইনের অপব্যবহার করছেন তারা সাবধান হবেন।’