দুর্নীতি মামলায় নড়াইল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের কারাদণ্ড
দুর্নীতির মামলায় নড়াইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস ও নড়াইল পৌরসভার মেয়র মো. জাহাঙ্গীর বিশ্বাসসহ ৮ জনকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ ৯৬ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে যশোরের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতদের মধ্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন পলাতক রয়েছেন। রায় ঘোষণা শেষে অন্যদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
মামলার পাবলিক প্রসিকিউটর সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ২০০৪-০৫ অর্থবছরে আসামি সোহরাব হোসেন নড়াইল পৌরসভার মেয়র ছিলেন। ওই সময় রূপগঞ্জ পশুহাট ইজারার দরপত্র আহ্বান করা হয়। এইচএম সোহেল রানা পলাশ নামে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৬৫ হাজার ৫৫৫ টাকায় ওই হাটের ইজারা পান এবং তিনি দরপত্রের নিয়ম অনুযায়ী বিডি হিসেবে ৩৩ হাজার টাকা জমা দেন। পরবর্তীতে তিনি দরপত্র মূল্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে ইজারা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন এবং মেয়র হিসেবে সোহরাব হোসেন তা মঞ্জুর করেন। এরপর ইজারাদাতাকে তার জমাকৃত টাকা ফেরৎ দেওয়া হয়। একই সাথে নতুন করে ইজারা আহ্বান না করে সকলে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে ওই হাট তিনবছর ধরে খাস দেখিয়ে এক লাখ ৯৬ হাজার টাকা আদায় করেন এবং সমুদয় অর্থ আত্মসাৎ করেন।
এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন সমন্বিত কার্যালয় যশোরের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী বিশ্বাস ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট ৮ জনকে আসামি করে নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার বিচারক প্রত্যেক আসামিকে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও আত্মসাৎকৃত টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন নড়াইল পৌরসভার তৎকালীন কমিশনার শরফুল আলম লিটু, মুশফিকুর রহমান, আহম্মদ আলী খান, রফিকুল ইসলাম, তেলায়েত হোসেন ও ভারপ্রাপ্ত সচিব (প্রাক্তন প্রধান সহকারী) মতিয়ার রহমান।