তুলির আঁচড়ের অপেক্ষায় দেবী দূর্গা!

 In দেশের ভেতর, প্রধান খবর, লিড নিউজ

 

চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরে দর্শনীয় ও কারুকাজ খচিত প্রতিমা তৈরি শেষ হয়েছে। এবার নরম তুলির আঁচড়ের অপেক্ষায় আছে দেবী মহামায়া। ইতোমধ্যে চাঁদপুরের ১৯০টি পূজামন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এবার ধাপে ধাপে দেবী দূর্গাকে তুলির আঁচড়ে সাজিয়ে তুলবেন মৃৎ শিল্পীরা। জেলার সবচে শৈল্পিক প্রতিমা তৈরি হয়েছে চাঁদপুর শহরতলী বাবুরহাট এলাকার দে বাড়িতে। এমন খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে দে বাড়ি পূজা ম-পে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ। এবার রং তুলিতে সাজার অপেক্ষায় দেবী দূর্গা। এ মন্ডপের প্রতিমাদের বিশেষত্ব হচ্ছে, নৌকার উপর প্রতিমা মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। নৌকার দুই মাথায় আছে হাতির প্রতিকৃত। প্রতিটি প্রতিমা শরীর থেকে মুকুট পর্যন্ত হাতের শৈল্পিক কারুকাজ। অবশ্য এ কারুকাজ ও নৌকা হাতি প্রতিকৃতি বিশেষ করে তুলেছে এ মন্ডপটিকে।

দে বাড়ি মন্ডপ কমিটির সাধারণ সম্পাদক যুবরাজ দাস জানান, আমাদের প্রতিমা তৈরিতে লাখ টাকার উপরে খরচ হয়েছে। বাকী কাজ করতে আরো অনেক টাকা লাগবে। ভক্তবৃন্দকে মন্ডপে আসার আহবান জানান তিনি।

এ বছর আগামি ২৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার শ্রী শ্রী দুর্গা দেবীর বোধন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গা পূজা। আগামি ৩০ সেপ্টেম্বর বিজয়াদশমীর দিনে দশমী পূজাশেষে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ শারদীয় দুর্গাৎসব।

চাঁদপুর পূজা উদযাপন পরিষদ সুত্র জানায়, এ বছর পুরো জেলায় ১৯০ টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে চাঁদপুর সদর উপজেলায় ২৭টি, হাইমচরে ৬টি, মতলব দক্ষিণে ৩২টি, মতলব উত্তরে ২৯টি, ফরিদগঞ্জে ১৮টি, শাহরাস্তিতে ১৪টি, হাজিগঞ্জে ২৫টি ও কচুয়ায় ৩৯টি মন্ডপে পূজা উদযাপিত হবে।

এদিকে দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন। প্রতিটি মন্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি পূজা মন্ডপে নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, ভিডিপিসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত পরিমান সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়াও মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানবে এমন ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহবান জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

চাঁদপুর জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভপতি সুভাষ চন্দ্র রায় জানান, এ বছর আমরা জেলা প্রশাসনের নির্দেশনাকে প্রাধান্য দিয়ে শারদীয় দূর্গা উৎসব পালন করবো। ইতোমধ্যে আমরা পুলিশ প্রশাসনের সাথে সাক্ষাত করে ৫ দিনব্যাপী এই উৎসবে কোন মন্দিরেই যেনো বিশৃঙ্খলা না ঘটে, তার জন্য সহযোগীতা চেয়েছি। পুলিশ প্রশাসনও আমাদেরকে সহযোগীতার আশ^াস দিয়েছেন। আশা রাখছি হিন্দু সম্প্রদায়ের এ সর্ববৃহত উৎসব কোনো প্রকার বিশৃংখলা ছাড়াই আনন্দমূখর পরিবেশে শেষ হবে।

Recent Posts

Leave a Comment