সোনালী ব্যাংকের পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত

 In প্রধান খবর, ব্যবসা বাণিজ্য, লিড নিউজ

 

চাঁদপুর প্রতিনিধি

নিয়মবর্হিভূত ভাবে ঋণ দেয়ার অপরাধে সোনালী ব্যাংক চাঁদপুর শাখার ৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মেসার্স সী ফুড করপোরেশন লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহিদুর রহমান চৌধুরী সোনালী ব্যাংকের ২২ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ায় তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়। এছাড়াও ওই ঘটনার সাথে জড়িত আরোও ৮ জন জনকে শোকজ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সোনালী ব্যাংক চাঁদপুর শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. দেলোয়ার হোসেন আব্বাসী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- সোনালী ব্যাংক চাঁদপুর শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার আবুল কালাম আজাদ, এজিএম হারুনুর রশিদ, কর্মকর্তা গোলাম হোসেন টিটু, গোডাউন কিপার ইকবাল হোসেন ও চৌকিদার ওমর ফারুক পাটওয়ারী। এছাড়াও প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আশ্রাফুজ্জামান, শাখা প্রধান হারুনুর রশিদসহ শীর্ষ পর্যায়ের মোট ৮জনকে নোটিশ তথা শোকজ করা হয়েছে।

এদিকে প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আশ্রাফুজ্জামান এ ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখলেও তাকে বরখাস্ত না করে নোটিশ তথা শোকজ করায় এ নিয়ে চাঁদপুরের ব্যাংক পাড়ায় চলছে নানান আলোচনা সমালোচনা। কেহ কেহ বলছেন ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যোগসাজেসে সাময়িক বরখাস্তের তালিকা থেকে নিজের নাম সরিয়ে নিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংক চাঁদপুর শাখার কর্মকর্তা গোলাম হোসেন টিটু জানান, বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন। তাই এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে পারবো না।

তবে সোনালী ব্যাংক চাঁদপুর শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. দেলোয়ার হোসেন আব্বাসী বলেন, আমরা মৌখিক ভাবে জেনেছি মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে তদন্তটিম তথ্য প্রমাণ পেয়েছেন। এদের মধ্যে কেহ কেহ চাঁদপুর প্রধান শাখায় কর্মরত। আবার অনেকে পদোন্নতি পেয়ে উচ্চপদে আছেন। তবে আমরা ৭ জনের বিষয়ে চিঠি পেয়েছি। এদের মধ্যে ৫ জনকে সাময়িক বরখাস্ত ও ২ জনকে নোটিশ করা হয়েছে। বাকীরা শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা। নিয়মানুযায়ী আমরা তাদের চিঠি পাব না।

উল্লেখ্য, চাঁদপুর শহরের সু-পরিচিত সর্বজন শ্রদ্ধেয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মেসার্স সী ফুড করপোরেশন লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহিদুর রহমান চৌধুরী সোনালী ব্যাংক লিমিটেড চাঁদপুর শাখা হতে ২০১০ সালে ২২ কোটি টাকা ঋণ নেয়। পুণরায় ২০১৫ সালে ঋণ নবায়ন করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকেই তিনি আতœগোপণে চলে যান। দীর্ঘদিন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার সাথে যোগাযোগে ব্যর্থ হয়ে তার সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করার জন্য গত ৩১ মার্চ ২০১৭ ইং তারিখে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। যদিও নিলাম বিজ্ঞপ্তির অনুকূলে কোনো দরপত্র জমা পড়েনি।

Recent Posts

Leave a Comment