জেলে পল্লীতে আনন্দের বন্যা

 In প্রধান খবর, ব্যবসা বাণিজ্য

চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরের জেলে পল্লীগুলোতে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। ভরা মৌসুমের ২২দিন নদীতে নামতে না পারায় অতি কষ্টে দিনাতিপাত করেছে তারা। অবশেষে মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম শেষে আজ সোমবার থেকে আবার নদীতে মাছ ধরবে জেলেরা। ২২দিন নদী পাড়ে বসে থেকে অলস সময় কাটানো জেলে পাড়ায় উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এবছর চাঁদপুরের জেলেরা স্বতঃর্স্ফূত ভাবে এ কর্মসূচি সফল করতে সহায়তা করেছে। প্রশাসনও বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, কিছু অসাধু জেলে নদীতে নামলেও কোনো ভাবেই তারা ছাড় পায়নি। অসাধ্য জেলেদের আটক করে অর্থদন্ড ও কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। তারপরেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর কর্মসূচি সফল হয়েছে দাবি করেন মৎস্য কর্মকর্তা।
চাঁদপুর মৎস্য বিভাগ জানায়, গত ০১-২২ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশের নদীগুলোতে চলে মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম। এর আওয়াতায় ছিলো চাঁদপুরের প্রায় ৬০ কিলোমিটার নদী এলাকা। এ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড নৌ পুলিশের তৎপরতা ছিলো উল্লেখ করার মতো। গত ২২ দিনে চাঁদপুরের সীমানায় মাছ শিকারের অপরাধে ৯৫ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও ২৯ জেলেকে ১লাখ ৩হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। প্রায় আড়াইশ মোবাইকোর্ট ও অভিযান পরিচলানা করা হয়। অভিযানে ৭লাখ ৩৪ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ২হাজার ৩শ কেজি মা ইলিশ জব্দ করা হয়।
মাদ্রাসা রোড এলাকার জেলে এছহাক মিয়া ও জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, পানির মানুষ পানিতে না থাকলে ভালা লাগে না। অনেক কষ্ট হইছে তারপরে সরকারের আইন আমরা মানছি।সোমবার থাইক্কা (থেকে) নদীতে নামমু (নামব)। ঠিক মতো মাছ পাইলে ধার দেনা শোধ করা যাইবো।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন মোঃ সফিকুর রহমান বলেন, এবছর কর্মসূচি প্রায় শতভাগ সফল হয়েছে। আগামী বছর ইলিশের উৎপাদন বাড়বে বলেও তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডল বলেন, মা ইলিশকে রক্ষা করতে র্সাবক্ষিণ নদীতে টহল দেয়া হয়েছে। কর্মসূচি সফল করতে সবাই আন্তরিক ছিলো বলেই সম্ভব হয়েছে। এ সফলতার দাবিদার জেলে, ইউপি পরিষদের সদস্য, চেয়ারম্যান, সচেতন মহলসহ গণমাধ্যম কর্মীরাও।

Recent Posts

Leave a Comment