এরশাদ মানুষ হত্যা করতে পারে না : রওশন
শহীদ নূর হোসেনকে হত্যার জন্য তৎকালীন এরশাদ সরকারকে দায়ী করা হলেও তার স্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ দাবি করেছেন, নূর হোসেন কেন? এইচ এম এরশাদ মানুষ হত্যা করতে পারে না।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানী কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স হলে জাতীয় পার্টি আয়োজিত ‘গণতন্ত্র দিবস’ এর এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন।
জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ দাবি করেন, ১৯৮৬ সালের ১০ নভেম্বর গণতন্ত্র সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়। এজন্য আমরা ১০ নভেম্বর গণতন্ত্র দিবস পালন করি।
নূর হোসেনের মৃত্যুর জন্য প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এরশাদ দায়ী নন দাবি করে রওশন বলেন, এরশাদের হাতে রক্তের দাগ নেই। নূর হোসেনকে হত্যা করা হয়েছিল তাদের আন্দোলনের প্রয়োজনে, গণতন্ত্রের প্রয়োজনে নয়। এরশাদ ১৯৮৮ সালের বন্যায় দূর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল, সে কখনো মানুষ হত্যা করতে পারে না।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি এরশাদ এর আমলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল, কারণ এরশাদের আমলে উন্নয়ন ছিল, সুশাসন ছিল। গুম, হত্যা, ধর্ষণ ছিল না। বাজার মূল্য আজ ঊর্ধ্বগতি। ৮০ টাকা চালের কেজি, পেঁয়াজের কেজি ৯০ টাকা, এর নাম নাম গণতন্ত্র নয়।’ সুখী সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে প্রাক্তন সফল রাষ্ট্রনায়ক এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান রওশন।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সুনীল শুভ রায়, এস এম ফয়সল চিশতী, মীর আবদুস সবুর আসুদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী মনি, জাপা নেতা সফিকুল ইসলাম সেন্টু, জহিরুল ইসলাম জহির, আলমগীর সিকদার লোটন, গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদিকা অনন্যা হুসেইন মৌসুমী, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সেক্রেটারি বেলাল হোসেন, শ্রমিক পার্টির সভাপতি একেএম আসরাফুজ্জামান খান, কৃষক পার্টির সেক্রেটারি নাছির উদ্দিন মামুন, ছাত্রসমাজের সভাপতি ইফতেকার আহসান হাসান।
উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য নুর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী, নাসরিন জাহান রতনা, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, উপদেষ্টা আ ন ম শাহজাহান, সৈয়দ দিদার বখত, কাজী মামুনুর রশীদ, নাজমা আক্তার, অধ্যাপক রওশন আরা মান্নান, এম এ তালহা, আরিফুর রহমান খান, আমানত হোসেন আমানত, মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, ইসহাক ভূইয়া, আমির উদ্দিন আহমেদ ডালু, সুজন দে, সুলতান মাহমুদ, ডা. সেলিমা খান, মহিলা নেত্রী রিতু নুর, মিনি খান, নুরুন নাহার বেগম, অ্যাডভোকেট রোজী সিদ্দিকী, হাসনা হেনা, ফরিদা সিকদার প্রমুখ।
১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস। ১৯৮৭ সালের এই দিনে নূর হোসেন স্বৈরাচার নিপাত যাক গণতন্ত্র মুক্তি পাক শ্লোগান বুকে পিঠে ধারণ করে রাজধানীর জিরো পয়েন্টে শহীদ হয়েছিলেন। তার এই আত্মত্যাগের স্মরণে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস পালন করে আসছে। আর জাতীয় পার্টি দিনটিতে পালন করে আসছে গণতন্ত্র দিবস।