ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর সমালোচনা করে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ বলেছেন, যারা সবার চেয়ে বেশি নাগরিক সুবিধা ভোগ করে, তাদের ওপর ট্যাক্স বসান।
সোমবার দশম সংসদের ১৮তম অধিবেশনের দ্বিতীয় কার্যদিবসে পয়েন্ট অব অর্ডারে তিনি এসব কথা বলেন। আজ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।
কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, হঠাৎ করে হাজার গুণ হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর কারণে জনগণ আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে এ সরকারকে আর ভোট দেবে না। হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়িয়ে সমস্ত ঢাকা শহরকে অশান্ত করেছে দুই সিটি করপোরেশন। সামনে সংসদ নির্বাচন, এখন ট্যাক্স বাড়ানো হলো কেন? জনগণ আর আপনাদের ভোট দেবে না।
তিনি আরো বলেন, এতদিন কেন তাদের (সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ) মনে পড়ল না, যখন ভোট এগিয়ে আসছে তখন তাদের মনে পড়ল হাজার গুণ ট্যাক্স বাড়াতে হবে। মগের মুল্লুক আর কি! এ বিষয়ে মামলা হবে। এখন যখন আমরা ভোটে যাব তখন এটা ফেস (মোকাবেলা) করতে হবে।
ফিরোজ রশীদ বলেন, এখানে খাদ্যমন্ত্রীসহ ঢাকা শহরের অনেক এমপি রয়েছেন। তারা সরকারি দল করেন বলে এখন কিছু বলছেন না। কিন্তু যখন নির্বাচনের জন্য ভোট চাইতে যাবেন তখন কে সরকারি দলের আর কে অন্য দলের তা কিন্তু ভোটাররা দেখবে না। তারা বলবে, আপনারা সরকারের মন্ত্রী। আপনাদের নির্দেশে ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। আপনাদের ভোট দেব না। আমাকেও তারা এখনই এসব কথা বলছেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, বৃষ্টি হলে হাঁটু পানি জমে, চলাচল করা দায়। বাড়ির নিচতলায় পানি উঠে যায়। নৌকায় চলাচল করতে হয়। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সেখানে কোনো নাগরিক সুবিধা না দিয়ে ট্যাক্স কেন বাড়ানো হবে। পৃথিবীর কোনো দেশে এমনটি নেই। মশা, মাছি ভর্তি, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ নানা রোগ হচ্ছে। পুরনো শহরে যে দুরবস্থায় মানুষ থাকেন তা বলার মতো নয়, যা আমাদের মোকাবিলা করতে হয়