চাঁদপুর ও হাইমচর ৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোয়ন প্রত্যাশী রেদওয়ান খান বোরহান রোববার (১ এপ্রিল) হাতির পিঠে চড়ে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে শোডাউন করেছেন।
তার এ ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
অনেকেই বিষয়টিকে বিনোদন ও নতুনত্ব হিসেবে দেখলেও দলীয় কিছু নেতাকর্মী সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নেতিবাচক মন্তব্য লিখে পোস্ট দিয়েছেন।
১ এপ্রিল রোববার চাঁদপুর স্টেডিয়ামে ছিলো জেলা আওয়ামীলীগ আযোজিত জনসভা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানন্ত্রী জননেন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর ওই জনসভায় অংশ নিতে সকাল থেকে শহরজুড়ে ছিলো হাজারো মানুষের উপস্থিতি। ওই সময় রেদওয়ান খান বোরহান তার সাথে থাকা কিছু লোক নিয়ে তিনি নিজে ছোয়ারির সাথে হাতির পিঠে চরে জনসভাস্থলে যাওয়ার জন্য হাতি নিয়ে শহরে আসেন।
যেখানে সাধারণ মানুষ স্বাভাবিক ভাবে ঠিকমতো রাস্তা দিয়ে হেটে যেতে পারেননি। সেখানে হাজারো মানুষের ভিড়ে তার এই হাতির পিঠে চড়ে জনসভায় যোগ দেয়াকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে মেনে নিতে পারেননি দলীয় নেতাকর্মীদের অনেকে।
তারা অনেকে মন্তব্য করেন, তাঁর প্রতীক নৌকা না হয়ে হাতি হওয়া উচিত।
সাকিল খান ইফতি নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী ফেসবুক ওয়ালে উদ্বৃতি দিয়ে লিখেন, ‘রেদোয়ান খাঁন বোরহান কে নিয়ে কিছু মজার তথ্য দিলেন ১০ নং লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ সেলিম খাঁন, চেয়ারম্যান সাহেব বলেন যে ব্যাক্তি ইউনিয়ন নির্বাচনে দাড়িয়ে দলের মনোয়ন পাননি সে কি ভাবে জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোয়ন প্রত্যাশী চেয়ে ব্যানার বিলবোর্ড করেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্যে রেদওয়ান খান বোরহানের মুঠোফোনে জানান, ‘যার নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন সার্বভৌম পেয়েছি সে মহান নেতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানিয়ে আমার এ আয়োজন ছিলো। এ নিয়ে কিছু বিপথগামী নেতাকর্মী আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে, আমি ধৈর্য্য ধারণ করেছি।’
সোস্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে সমালোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কাজ করলে আলোচনা-সমালোচনা থাকবেই, ভালো মানুষেরা সমালোচনা করে না।’