চাঁদপুরে এক মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চায় পরিবার

 In কচুয়া উপজেলা, চাঁদপুর, জাতীয়, প্রধান খবর, লিড নিউজ

চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরে আবদুল মমিন নামে এক মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চায় তার পরিবার। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছে ছিলেন তিনি এমনটাই দাবি তাদের। যদিও তাঁর ভাগ্যে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি মিলেনি এমনটাই দাবি পরিবারের। ২০০৯ সালের মার্চে তিনি এ দুঃখবোধ নিয়ে মারা গেছেন। এখন আবদুল মবিনের পরিবার মৃত্যুর পর হলেও তাঁর স্বীকৃতিটুকু চায়। অবশ্য প্রশাসন বলছে, এখন আবেদন করার সুযোগ নেই। তবে পরিবারকে সরাসরি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৯নম্বর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মমিন। স্বাধীনতা যুদ্ধে বিএলএফে যুক্ত হয়ে ঝাপিয়ে পড়েন পাকহানাদারের বিরুদ্ধে দাবি পরিবারের। তারপর স্বীকৃতি স্বরূপ মুক্তিযোদ্ধের অধিনায়ক রবিউল আউয়াল কিরণ স্বাক্ষরিত ‘মুজিব বাহিনী’ সনদ নেন। সনদ নম্বর ২৫৪২। ১৯৭২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী সনদ পেলেও জীবদ্দশায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি মিলেনি। ২০০৯ সালের ১৭ মার্চ মারা যান আব্দুল মমিন। তাঁর পরিবারের দাবি, তাকে যেন মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি দিয়ে অন্তত কবরের উপরে নামের আগে মুক্তিযোদ্ধা লেখার সুযোগ দেয়া হয়।
আব্দুল মমিনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, যুদ্ধ চলার সময় আমার কাছে না বলেই বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতো। অনেক দিন পরপর এসে শান্ত¦না দিয়ে বলতো আমার জন্যে চিন্তা করো না। আমি আমার বড় মেয়েকে নিয়ে খুব ভয়ে আর চিন্তায় থাকতাম। কিন্তু ওনাকে বারণও করার সাহস পেতাম না।
বড় ছেলে আবুল হোসেন মোঠোফোনে বলেন, মৃত্যুর আগে বাবা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেতে অনেক চেষ্টা তদরবির করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বাবার মৃত্যুর পর হয়তো সঠিক ভাবে চেষ্টা করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমরা চাই সরকার অন্তত পক্ষে বাবার মুক্তিযোদ্ধার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে অন্তত একটা ফায়সালা দিক।
কচুয়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার মোঃ জাবের মিয়া বলেন, আবদুল মবিন সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। এ বিষয়ে এককভাবে কারো কোনো কিছু করার নেই। যদি মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাইয়ের জন্যে নির্দেশ দেয় তখন বিষয়টি সর্ম্পকে প্রকৃত ধারণা পাওয়া যাবে।
অবশ্য কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলীমা আফরোজ জানালেন, এখন আর মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম অর্ন্তভূক্ত করার সুযোগ নেই। কারণ গত বছরের আগেই মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। তারপরেও তারা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগের মাধ্যমে চেষ্টা করতে পারে।
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মমিন তিন মেয়ে ও দুই ছেলের পিতা ছিলেন। তাঁর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম গত বছর ১৯ ফেব্রুয়ারী উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির কাছে আবেদন করেছিলো। নির্ধারিত সময়ে অনেক পরে বিধায় ওই আবেদন পত্র গ্রহন করেনি প্রশাসন।

Recent Posts

Leave a Comment