এসপি বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের তালিকাভুক্ত ১১ নিখোঁজ শ্রমিক ছাড়াও অজ্ঞাতপরিচয়ের কেউ থাকলেও তাদের সন্ধানে কাজ করছে উদ্ধারকারীরা। ভারি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ধসে যাওয়া ভবনের জঞ্জাল ড্রাম ট্রাক দিয়ে সরানো হচ্ছে।’
‘তবে ধ্বংসস্তূপে আর কোনো কোনো মরদেহ মেলেনি’— বলেন এএসপি।
গত ১০ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে বিসিক শিল্প এলাকায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনের মালিকানাধীন টাম্পাকো ফয়েলস কারখানায় গ্যাস সঞ্চালন লাইন বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণে চারটি ভবনের তিনটি ধসে পড়ে।
টাম্পাকো দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো ৩৫ জন। স্বজনদের ভাষ্যমতে নিখোঁজ রয়েছেন ১১ জন।
এরইমধ্যে ২৮টি লাশ সনাক্ত করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি লাশ ডিএনএ টেস্টের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে প্রশাসন জানিয়েছেন। লাশগুলো বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
এরইমধ্যে কারখানা মালিকের বিরুদ্ধে দুইটি হত্যা মামলা হয়েছে। দুর্ঘটনার দুইদিন পর কারখানা মালিকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা করেন নিহত শ্রমিক জুয়েলের বাবা আব্দুল কাদের।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে কারখানা মালিকসহ ১০ জনকে আসামি করে দ্বিতীয় মামলা করে টঙ্গি থানা পুলিশ। তবে আসামিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।